ত্রিপুরার গোমতী, দক্ষিণ ও সিপাহীজলা জেলা খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভর হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, কুমারঘাট, ১০ আগস্ট।। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন গ্রাম ও কৃষকদের উন্নয়নে। গ্রাম উন্নত হলে দেশও এগিয়ে যাবে। সেজন্য কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার চেষ্টা চলছে। রাজ্যেও সেই লক্ষ্যে কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নে বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। ফটিকরায়ের নজরুল কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার কুমারঘাট কৃষি মহকুমা কার্যালয়ের উদ্যোগে কৃষি যন্ত্রাংশ ও ফলের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধকের বক্তব্যে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ আরও বলেন, কৃষি হল রাজ্যের অর্থ ব্যবস্থার মূল ভিত্তি। আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে নতুন নতুন যন্ত্রাংশ ব্যবহারের প্রতি আমরা অধিক জোর দিয়েছি। প্রত্যেক পঞ্চায়েতে অন্তত একটি করে ধানের চারা রোপন করার মেশিন দেয়ার চেষ্টা চলছে। স্বসহায়ক দলের মাধ্যমে এই মেশিন দেওয়া হবে। এতে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে গোমতী, দক্ষিণ ও সিপাহীজলা জেলা খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভর হয়েছে। ঊনকোটি জেলা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। ঊনকোটিতে যেখানে খাদ্য শস্যের প্রয়োজন ৭৫ হাজার মেট্রিক টন সেখানে উৎপাদন হচ্ছে ৬৯ হাজার মেট্রিক টন। কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, কোন জমি পতিত ফেলে রাখা হবে না। পতিত জমিতে কোন না কোন ফসল করতেই হবে। তিনি বলেন, কৃষিতে আমাদের স্বয়ম্ভর হতেই হবে। এই দায়িত্ব কৃষকদেরও নিতে হবে। রাজ্য সরকার কৃষকদের পাশে রয়েছে।

প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, এই জাতীয় অনুষ্ঠানের ফলে মহকুমার কৃষকরা ফসল উৎপাদনে আরও বেশী উৎসাহিত হবেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার কৃষকদের যন্ত্রাংশ দিচ্ছে। অন্নদাতা কৃষকদের পাশে দাড়ানো সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি অর্গানিক সার ব্যবহার করে কৃষকদের চাষবাস করার উপরও গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি কৃষির সাথে যুক্ত পশুপালন ও মৎস্যচাষে এগিয়ে আসতেও প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী সুধাংশু দাস কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস। সভাপতিত্ব করেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি শুভ্রেন্দু দাস। উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, কুমারঘাট পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সমতী দাস, জেলাশাসক টি কে চাকমা ও অল ত্রিপুরা ফার্মার্স ক্লাবের সভাপতি প্রদীপ বরন রায়।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা মহকুমার দু’টি স্বসহায়ক দল জয়রাম ফার্মার্স ক্লাব ও পূর্ব কাঞ্চনবাড়ি ফার্মার্স ক্লাবকে ১৯ লক্ষ টাকা মূল্যের পাওয়ার টিলার, ধান নিরানী মেশিন সহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি তুলে দেন। এছাড়া কিছু কৃষককে ভর্তুকী মুলো স্প্রে মিশিন প্রদান করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে আগত প্রত্যেক কৃষককে আম, নারকেল, সুপারী সহ বিভিন্ন অর্থকরি ফলের চারা প্রদান করা হয়।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?