স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১০ আগস্ট।। বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে দেশ সবার আগে। এই ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সূচনা করেছিলেন। আজ সন্ধ্যায় আগরতলার পূর্বাশা প্রাঙ্গণে ৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি বীরো কে নাম কর্মসূচিতে দু’দিনব্যাপী পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক মেলা ও প্রদর্শনীর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পর্যটনমন্ত্রী আরও বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সমাপ্তি উপলক্ষে আমাদের রাজ্যেও মেরি মাটি মেরা দেশ ও ৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি বীরো কে নাম কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় চেতনায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতেই এ সমস্ত কর্মসূচিগুলি পালন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি বীরো কে নাম কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মাতৃভূমি ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো।
সীমান্ত এলাকায় বীর সেনানীদের জন্যই দেশের অখন্ডতা সুরক্ষিত রয়েছে। আমরাও সুরক্ষিত রয়েছি। অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত বলেন, ৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি বীরো কে নাম কর্মসূচিতে জেলার ১৬টি সীমান্ত গ্রামকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই সীমান্ত গ্রামগুলিতে বসবাসরত নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান। উন্নয়নকে গতিশীল করতে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছে। এই সীমান্ত গ্রামগুলিতে ক্রীড়া ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সমাপ্তি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি দেশজুড়ে পালন করা হচ্ছে। এরমধ্যে ৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি বীরো কে নাম কর্মসূচিটি একমাত্র ত্রিপুরা রাজ্যেই পালন করা হচ্ছে। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য।
উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন ও অতিরিক্ত জেলাশাসক রাজীব দত্ত। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে জেলার সংগীতে ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে, নৃত্যে ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে ও নাটকে ২টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে পুরস্কৃত করা হয়।