স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২১ জুলাই।। জিএসটি চালু হওয়ায় ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির অনেক সুবিধা হয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে ব্যবসা বাণিজ্যের পরিকাঠামো অনেক বেশী সম্প্রসারিত হয়েছে। আজ বিকেলে আগরতলার নেতাজী চৌমুহনীতে জিএসটি ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ একথা বলেন।
তিনি বলেন, জিএসটি চালু হওয়ার আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় বিক্রয় কর থেকে পাওয়া ত্রিপুরার শেয়ারের পরিমাণ ছিল। ৪.২১ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আন্ত:রাজ্য বাণিজ্য থেকে কর আদায় হয়েছে ৯৮২.৫০ কোটি টাকা। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে জিএসটি চালু হওয়ায় ত্রিপুরার মত ছোট্ট রাজ্য কতটা উপকৃত হয়েছে। তিনি বলেন, ত্রিপুরার মানুষ খুবই সচেতন। তারা খুব অতিথিবৎসলও। ভৌগোলিক দিকদিয়ে এই রাজ্যের কিছু কিছু অঞ্চল দূরবর্তী হলেও জিএসটি’র সুবিধা যথাযথভাবে পেতে হলে সবার কাছে পৌঁছতে হবে।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, জিএসটি’র সুবিধা সবাই গ্রহণ করতে পারবেন যদি সংশ্লিষ্টদের সবাইকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা যায়। এজন্য এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের জন্য উন্নত পরিকাঠামো গড়ে উঠা দরকার।
আজ উদ্বোধন হওয়া জিএসটি ভবনটিতে যেসব সুযোগ সুবিধা রয়েছে তার উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এই ভবনটিতে কাজ করার যথেষ্ট সুবিধা রয়েছে। জিএসটি সম্পর্কে যাদের আগ্রহ রয়েছে তারা এই অফিসের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এবিষয়ে আধিকারিকদের বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। ছোট ব্যবসায়ীরাও এখন জিএসটি’র সুবিধা সম্পর্কে অবহিত আছেন। ব্যবসা বাণিজ্যের সাথে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থাগুলির সদস্যদের সঙ্গে আরও নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আধিকারিকদের পরামর্শ দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজস্ব মন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় মালহোত্রা বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। জিএসটি প্রথা চালু হওয়ার পর এই অঞ্চলে যথেষ্ট সুফল পাওয়া গেছে। ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ব্যবসা বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে এবং জিএসটি আদায়ের পরিমাণও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী দিনে তা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আজ যে ভবনটির উদ্বোধন হয়েছে তার প্রশংসা করে শ্রী মালহোত্রা বলেন, এই ভবনটির সুবিধা সংশ্লিষ্টদের কাজে লাগাতে হবে।
স্বাগত ভাষণে সিবিআইসি’র চেয়ারম্যান বিবেক জহুরী বলেন, জিএসটি ব্যবস্থা চালু হওয়ার আগে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ৩টি কমিশনারেট ছিল। জিএসটি ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর এই সংখ্যা এখন বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১ তে। এই অঞ্চলের সবকটি রাজ্যেই এখন কমিশনারেট আছে। তিনি বলেন, আজ চালু হওয়া জিএসটি ভবনটিতে আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এর উপর তলায় একটি অডিটরিয়াম রয়েছে। এতে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন সিজিএসটি ও কাষ্টমস গুয়াহাটি জোনের চিফ কমিশনার যোগেন্দ্র গর্গ।