স্টাফ রিপোর্টার, খোয়াই, ২১ জুলাই।। বর্তমান সরকার প্রাণীজ খাদ্য উৎপাদনে রাজ্যকে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে। এই কর্মসূচিগুলি প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। খোয়াই জেলা প্রশাসনের কনফারেন্স হলে গতকাল তপশিলী জাতি কল্যাণ, প্রাণীসম্পদ বিকাশ ও মংসা দপ্তরের এক পর্যালোচনা সভায় প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী সুধাংশু দাস এ কথা বলেন।
পর্যালোচনা সভায় খোয়াই জেলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী শ্রীদাস বলেন, জনকল্যাণে গৃহীত প্রাণী সম্পদ বিকাশ, মৎস্য ও তপশিলিজাতি কল্যাণ দপ্তরগুলির প্রকল্পগুলিকে স্বচ্ছতার সাথে রূপায়ণ করতে হবে। তিনি বলেন, রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে মৎস্য ও প্রানী পালনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, বিধানসভার সরকারি মুখ্যসচেতক বিধায়ক কল্যাণী রায়, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, বিধায়ক রঞ্জিৎ দেববর্মা, খোয়াই জিলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি হরিশঙ্কর পাল, তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন রূপক সরকার, খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন দেবাশীষ নাথশর্মা, তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান যমুনা দাস ( রায়), কল্যাণপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সোমেন গোপ, প্রাণীসম্পদ বিকাশ, তপশিলী জাতি কল্যাণ ও মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্র, খোয়াই জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সুভাষচন্দ্ৰ সাহা, তপশিলী জাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা অসীম সাহা, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা ড. কে শশীকুমার, মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা মোসলেমউদ্দিন আহমেদ, তেলিয়ামুড়া মহকুমার মহকুমাশাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী, খোয়াই মহকুমার মহকুমা শাসক বিজয় সিনহা প্রমুখ।
সভায় বিধানসভার সরকারি মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় বলেন, মানুষের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধাগুলি সঠিকভাবে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। পর্যালোচনা সভার পর প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী। শ্রী দাস প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের জেলা কার্যালয় ও জেলা মংস্য আধিকারিক কার্যালয়ের মৎস্য খামার পরিদর্শন করেন।