স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৪ জুলাই।। রাজ্যেই উন্নতমানের গোখাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়াস নিয়েছে বর্তমান সরকার। সরকারি খালি জমি, বন এলাকা এবং সরকারি ফার্মগুলিকে এই গোখাদ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
আজ গোমতী ডেয়ারি প্রাঙ্গণে ৫ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন ইন্সুলেটেড রোড মিল্ক ট্যাংকারের সূচনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। এই ট্যাংকারের মাধ্যমে বার মিল্ক কুলার সেন্টারগুলি (বিএমসি) থেকে দুধ ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বহন করে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। এর ফলে দুধের গুণগতমান যেমন বজায় থাকবে তেমনি দুধ নষ্টও হবেনা। কর্মসূচি বাস্তবায়ণে রয়েছে গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেড।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, ২০২২-২৩ এর হিসাব অনুযায়ী রাজ্যে প্রায় ৮৫ হাজার মেট্রিক টন দুধের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণ করতে হলে রাজ্যের কৃষকদের স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গোপালনে উৎসাহিত করতে হবে। তার জন্যই সরকার উন্নতমানের গোখাদ্য রাজ্যেই উৎপাদনের লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, রাজ্যে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চালু হওয়া উন্নত গোধন প্রকল্পে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার স্ত্রী বাছুরের জন্ম হয়েছে। কৃষকগণ যাতে তাদের উৎপাদিত দুধের সঠিক মূল্য পায় সেজন্য রাজ্যের সব জেলায় দুগ্ধ ক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের শারীরিক বিকাশে দুধ এক অমূল্য উপাদান। তাই রাজ্যকে দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে গোপালকদের আরও বেশী করে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। রাজ্যে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি হলে যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে তেমনি দুধের ঘাটতিও পূরণ হবে।
অনুষ্ঠানে সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, গোমতী ডেয়ারিতে বর্তমানের চাইতে আরও বেশীরকমের দুগ্ধজাত সামগ্রী উৎপাদনে জোর দেওয়া হয়েছে। ডেয়ারি পরিষেবাকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছানোর লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে। গোমতী ডেয়ারির উৎপাদিত সামগ্রীর গুণগতমানের উপর বিশেষ লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা ড. কে শশীকুমার বলেন, ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট গ্রান্ট- ইন- এইড প্রকল্পে এই ইন্সুলেটেড ট্যাংকার প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মেলাঘরে ৫ হাজার লিটার এবং কল্যাণপুরে ২ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি বিএমসি রয়েছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র ইন কাউন্সিল হীরালাল দেবনাথ, গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সমীর দাস, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্র প্রমুখ। পরবর্তীতে সকল অতিথিগণ পতাকা নেড়ে ট্যাংকারের যাত্রা সূচনা করেন।