স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৮ জুন।। ঔষধের দাম একটা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বেধে দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন ঔষধকে সহজলভ্য করে দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যাশন্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল অথরিটি (এনপিপিএ) কাজ করে চলেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এসম্পর্কে খুব একটা অবগত নন। আমাদের রাজ্যেও ত্রিপুরা স্টেট ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইস মনিটরিং এন্ড রিসোর্স ইউনিট (টিপিএমআরইউ) এই কাজ করছে। এই ব্যবসায় বিশ্বাসযোগ্যতা, নজরদারি ও স্বচ্ছতা খুবই প্রয়োজন।
আজ প্রজ্ঞাভবনের ১নং হলে আয়োজিত ‘ফিক্সেশন অব সিলিং প্রাইসেস আন্ডার এনএলইএম ২০২২- এনসিউরিং এফরডেবিলিটি’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। এই সেমিনারের আয়োজন করেছে ত্রিপুরা স্টেট ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইস মনিটরিং এন্ড রিসোর্স ইউনিট।
আমাদের দেশে টিপিএমআরইউ’র উল্লেখযোগ্য কাজের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঔষধ বিক্রয়ের উপর এধরণের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে তৃণমূলস্তরে সচেতনতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে স্বচ্ছতার উপর জোর দিচ্ছেন রাজ্য সরকারও সেই নীতি অনুসরণ করে চলেছে এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে রাজ্যে ১৩ লক্ষ কার্ড বিলি করা হয়েছে এবং প্রায় ২ লক্ষ আবেদন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে শুধু ঔষধ বিক্রি নয় ঔষধ তৈরীর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে তিনি স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দেশ দেন। এতে রাজ্যে নতুন শিল্প ও গড়ে উঠবে। প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ড্রাগ বাজেয়াপ্তকরণের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এব্যাপারে জিরো টলারেন্স এর উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় একটি ডি-এডিকশান সেন্টার খুলতে।
সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনপিপিএ-এর ডাইরেক্টর রতন কুমার খাটওয়ানি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব ডা. দেবাশিস বসু, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা তথা টিপিএমআরইউ-র চেয়ারম্যান ড. শুভাশিস দেববর্মা, রাজ্যের ডেপুটি ড্রাগ কন্ট্রোলার তথা টিপিএমআরইউ-র মেম্বার সেক্রেটারি কাঞ্চন সিনহা, বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থার প্রতিনিধি ও রিপস্যাট-এর ছাত্রছাত্রীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের রিসা, স্মারক ও গাছের চারা দিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। স্বাগত ভাষণ রাখেন ডেপুটি ড্রাগ কন্ট্রোলার কাঞ্চন সিনহা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. শুভাশিস দেববর্মা। এনপিপিএ-র অধিকর্তা রতন কুমার খাটওয়ানি এনপিপিএ’র কাজকর্ম সম্পর্কে আলোচনা করেন। সেমিনারে এনপিপিএ ও টিপিএমআরইউ’র কাজকর্ম সম্পর্কিত দু’টি সংক্ষিপ্ত ভিডিও দেখানো হয়।