অনলাইন ডেস্ক, ৯ জুন।। বিপদ যেন পিছু ছাড়ছেই না যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। একের পর এক মামলায় অভিযুক্ত হচ্ছেন তিনি। এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গোপন নথি সংক্রান্ত মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নানা নথি ব্যবহারের মামলায় তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠন করা হয়।
শুক্রবার (৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি নিজ বাড়িতে রাখা এবং তা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানোসহ সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে।ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনীত এই অভিযোগ একটি বিরল ঘটনা। কারণ, তার আগে কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কখনোই ফেডারেল অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি। ফেডারেল অপরাধ হলো এমন কিছু অপরাধ যা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার দ্বারা নির্ধারিত।
যে কাজগুলোকে দেশটির কংগ্রেসের উভয় কক্ষ সিনেট এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে অবৈধ বলে পাস হওয়ার হওয়ার পর তা দেশটির প্রেসিডেন্টের সইয়ের মাধ্যমে অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয় সেগুলোকে ফেডারেল অপরাধ বলা হয়। এ ধরনের অপরাধের বিচার দেশটির ফেডারেল বা রাজ্যের বিচার বিভাগ উভয়ই করতে পারে।এমন সময় মামলাটিতে অভিযুক্ত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যে ইচ্ছা তাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
কারণ, তিনি এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে তার কারাদণ্ড হতে পারে এবং ফেডারেল অপরাধে কারাদণ্ড হলে তাকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য বলেও ঘোষণা করা হতে পারে। এবিষয়ে নিজের তৈরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের বেলায় এমনটি হতে পারে আমি কখনো ভাবিনি। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কলঙ্কজনক দিন।
আমাদের দেশ দ্রুততার সঙ্গে নিচুতার দিকে যাচ্ছে। কিন্তু একসঙ্গে সবাই মিলে আমরা আবার আমেরিকাকে মহান হিসেবে গড়ে তুলব।ট্রাম্পের আইনজীবী জিম ট্রাস্টি সিএনএনকে বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতির আইনি দল এখনও অভিযোগের অনুলিপি পায়নি।এর আগে, স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে এক পর্ন তারকাকে মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেওয়ার অভিযোগে গত মার্চ মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই ঘটনার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সাবেক কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন হন।