অনলাইন ডেস্ক, ৯ জুন।। গ্রীষ্মকাল মানেই ফলের মৌসুম। আম, কাঁঠাল, জাম, লিচুতে ভরপুর ফলের বাজার। এরই মধ্যে বাজারে ছেয়ে গেছে কাঁঠাল দিয়ে। এই মৌসুমে বেশ জনপ্রিয় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল কাঁঠাল।এ ছাড়া শুধু কাঁঠালই নয়, কাঁঠালের বিচিও খাওয়া হয়। এটিও উপকারী। সুস্বাদু ও সুমিষ্ট এই ফল নানাভাবে আমাদের উপকার করে থাকে।
কাঁঠালের উপকারিতা-
১. প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে ৯৪ কিলো ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরকে প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই শরীরের ক্লান্তি এড়াতে রোজ পর্যাপ্ত কাঁঠাল খাওয়া ভালো।
২. প্রাকৃতিকভাবে মানবদেহে ভিটামিন-সি তৈরি হয় না। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে এই ভিটামিন-সি।
৩. কাঁঠালে রয়েছে সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম যা শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্সকে ঠিক রাখে। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হার্টও ভাল থাকে।
৪. এই ফলে খনিজ উপাদান আয়রন থাকে যা রক্তে লোহিতকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। এতে করে শরীরে রক্ত স্বল্পতা থাকলে তা কমে যায়।
৫. কাঁঠালে থাকে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভনয়েডসের মতো যৌগ। এই যৌগগুলি শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধতে দেয় না।
৬. কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি৬। উপকারী এই উপাদান ছাড়াও এতে পাওয়া যায় প্রচুর ক্যালোরি। যা কমায় হৃদরোগের ঝুঁকি। তবে এতে কোনো রকম কোলেস্টেরল নেই।
৭. ত্বক উজ্জ্বল রাখতে চাইলে কাঁঠাল খাওয়া উচিত। নিয়মিত কাঁঠাল খেলে ত্বক দ্রুত উজ্জ্বল হবে। কারণ এই ফলে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে কমায় বলিরেখাও।
৮. এই ফলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন। চোখ ভালো রাখার জন্য এই দুই উপাদান অপরিহার্য।
৯. এই থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম মানব দেহের হাড়ের গঠন ও হাড় শক্তিশালীকরণে ভূমিকা পালন করে। এছাড়া রক্ত সংকোচন প্রক্রিয়া সমাধানেও ভূমিকা রাখে।