স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ৮ জুন।। আর এই জুম চাষের উপরে পাহাড়ের একটি বড় অংশ নির্ভরশীল।যা থেকে সারা বছরের খাদ্যের যোগান হয় কিন্তু এবার ফসল ফলাতে পারেনি বৃষ্টি না হওয়াতে। যে কারণে ক্ষতির সংখ্যা অনুমান করছেন জুমিয়া পরিবার গুলি। তেলিয়ামুড়া মহকুমা ১৮ মুড়া পাহাড়ের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা জমিতে অনাবৃষ্টি আর খড়ার কারণে চাষ করতে পারেনি তেলিয়ামুড়া মহকুমার ১৮ মুড়া পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা গুলিতে বসবাসকারী জুমিয়া পরিবার গুলি।
দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে জঙ্গল কেটে আগাছা পোড়ানোর পর বৈশাখ মাসের শুরু থেকে জুমের বীজ বোনা হয়। তবে এ বছর অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে বীজ বপন করতে পারেনি বেশিরভাগ জূমিয়া পরিবার। এরই মধ্যে যারা বীজ বপন করেছে করায় তাদের জমিতে ও গাছ গজায় নি। আর তার নেপথ্যে রয়েছে সময় মত বৃষ্টি না আসার কারণে জুম চাষের জন্য তৈরি করা জমিতে অনেক জুমিয়া পরিবার গুলি বীজ বপন করতে পারেনি। এবং যারা বীজ বপন করেছেন জমিতে খড়ার কারণে সেই গাছ গুলিও মরে গিয়েছে। তবে জুমিয়া পরিবারগুলি জুম চাষের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসলের উপর নির্ভর করে বছরের ৬ মাস অতি সহজেই পরিবারের ভরণপোষণ যোগানো সম্ভব হয়।
কিন্তু এ বছর অনাবৃষ্টি এবং খরার ফলে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকা বলতে মুঙ্গিয়াকমি ব্লকের অধীন নোনা ছড়া, কাকড়াছড়া ,১৮ মুড়া,তুই করমা, শ্রীরামখড়া সহ বিভিন্ন এডিসি ভেলিজ সহ ১৮ মুড়া পাহাড়ের পার্শ্ববর্তী জনজাতি এলাকাগুলিতে জুমিয়া পরিবার গুলি এই বছর জুমে বীজ বপন করতে পারেনি। দীর্ঘদিন জুম চাষ করে আসা এক জুমিয়া চাষী জানান, বাবা মার কাছ থেকে শিখেছেন জুম চাষের পদ্ধতি। আর এই পদ্ধতি অনুসরণ করে দীর্ঘদিন ধরে জুম চাষের উপর নির্ভর করে সংসারের যাবতীয় ভরণ পোষণ করে আসছে। বিগত ২৫ বছর পূর্বে এই ধরনের পরিস্থিতি হয়েছিলন ত্রিপুরা রাজ্যে।সেই সময় পুজা রচনা করেছিল জমিয়া পরিবার গুলি।
বর্তমানে ২৫ বছরের পুরনো দিনগুলি ফিরে আসাতে করুন দুঃখ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জুমিয়া পরিবার গুলি। জুম চাষের সময় পুরানো দিনগুলি ফিরে আসাতে পুরান দুঃখ জনক পরিস্থিতির রূপ নেওয়াতে চিন্তার ভাঁজ জুমিয়া পরিবারের মধ্যে। এই সময়ে অনেক জুমিয়া পরিবার গুলি বসত বাড়িতে গোলাটে তুলতো ধান কিন্তু খাড়া নিয়ে ফিরতে হচ্ছে জমিয়া সহ পরিবারের সকল সদস্যরা।বর্তমানে ২৫ বছর পর পুনরায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়াতে এই জুমিয়া পরিবার গুলি দাবি বেঁচে থাকার জন্য সরকার যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।