স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৭ জুন।। রাজ্যের উন্নয়নে অবসরপ্রাপ্তদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে সরকার আগ্রহী। সমাজের উন্নয়নে তাদের অভিজ্ঞতা খুবই প্রয়োজন। আজ আগরতলার মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে অর্থ দপ্তর আয়োজিত পেনশনারস আদালত-২০২৩ এর উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী কিছু দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পেপারলেস কাজ করার পথে সরকার এগিয়ে চলছে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী অনলাইন পেনশন গ্রিভেন্স পোর্টালের উদ্বোধন করেন। তাছাড়াও অর্থমন্ত্রী আজ এইচআরএমএস’র মাধ্যমে অনলাইন পেনশন প্রপোজাল জমা করা এবং অনলাইন ই-সার্ভিস বুক জমা করার পদ্ধতিরও সূচনা করেছেন। আজ পেনশনার্স আদালতে ৭১টি অভিযোগ নথীভুক্ত হয়েছে। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারি পরিষেবার সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে।
বর্তমান সরকার কাজের স্বচ্ছতা আনতে নানা বিষয়ে নতুন নতুন সংস্কার ও পরিবর্তন আনছে। তিনি বলেন, পেনশনারসনের সুবিধা অসুবিধা সমাধান করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। পেনশনহোল্ডারের পর তার গৃহিনী বা এর সুবিধার আওতায় পড়েন তারাও যাতে পেনশন পেতে সমস্যায় না পড়েন সে বিষয়টিও দেখতে হবে। অবসরে যাওয়ার সময় দপ্তরের ডিডিওরা সঠিক তথ্য জমা করছেন কিনা এ ব্যাপারে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।
অর্থমন্ত্রী পেনশনারের সঠিক তথ্য পোর্টালে লিপিবদ্ধ করার জন্য দপ্তর, পেনশনার, এজি অফিস এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে অর্থ দপ্তরের সচিব রিজেশ পান্ডে বলেন, পেনশন হচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিদের অধিকার। পেনশন সিস্টেমে সরলীকরণ করার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। স্বাগত ভাষণ রাখেন অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব আকিঞ্চন সরকার। তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিদের অর্থনৈতিকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান সরকারের কাজ।
সরকারিভাবে পেনশনারসদের জন্য ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি ব্যাংকগুলিকে পেনশনারদের প্রতি আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিদের হাতে পেনশন পেমেন্ট অর্ডার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ডেপুটি একাডন্ট জেনারেল ললিত কুমার বিমল, সিনিয়র একাউন্ট অফিসার অনিন্দিতা ঘর, ট্রেজারি অফিসার শংকরনারায়ণ দাস, পেনশনারস সেলের কনভেনার ব্যোমকেশ চৌধুরী প্রমুখ।