স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২৭ মে।। হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামবাসীদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে অবশেষে অসম আগরতলা জাতীয় সড়ক পথ অবরোধে শামিল। ঘটনা শনিবার সকালে তেলিয়ামুড়া চাকমাঘাট মহকুমা শাসকের কার্যালয় থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বে। বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ।
অবরোধকারীদের অভিযোগ মূলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তেলিয়ামুড়ার বেশ কিছু বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বন্য হাতের উপদ্রব রয়েছে। প্রায় প্রতিদিন বন্য হাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে ধ্বংসলীলা চালায়। এনিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটা চাপা ক্ষোভ ছিল। পাশাপাশি হাতির আক্রমণে বেশ কয়েকজন মৃত্যুর খবরও রয়েছে।
সব মিলিয়ে শনিবার সকালে চাকমা ঘাটের ভূমিহীন কলোনি এলাকার সহজ সরল মানুষজনদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়, কেননা শুক্রবার রাতের আঁধারে বন্য হাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলে বলে অভিযোগ। ফলে পথ অবরোধে শামিল হয় চাকমা ঘাটের ভূমিহীন কলোনি এলাকার মানুষজনেরা। এই পথ অবরোধের ফলে রাস্তার উভয় পাশে আটকা পড়ে শত শত ছোট বড় যানবাহন। পরবর্তীতে ঘটনার খবর যায় তেলিয়ামুড়া থানা এবং তেলিয়ামুড়া বন বিভাগে।
পরবর্তীতে ঘটনার খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া থানার ও.সি সুব্রত চক্রবর্তী নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এবং ও.সি উনার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তেলিয়ামুড়া ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার সুপ্রিয় দেবনাথের নেতৃত্বে বনদপ্তর। পরবর্তীতে এলাকাবাসীদের সঙ্গে রেঞ্জ অফিসার কথা বলে, এবং আশ্বাস প্রদান করে হাতির সমস্যা নিরসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বনদপ্তর।
এই আশ্বাসের পর অবশেষে মুক্ত হয় অসম আগরতলা জাতীয় সড়কের পথ অবরোধ। তবে অবরোধকারীরা বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছে সংবাদমাধ্যমের সামনে। তাদের অভিযোগ,, হাতি যখন এলাকায় প্রবেশ করে তখন বনদপ্তরকে বারবার ফোন যুগে যোগাযোগ করা হলেও বনদপ্তরের কর্মীবাবুদের টিকির নাগাল মেলে না।