স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৪ এপ্রিল।। বহু বছর ধরে ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকা ম্যালেরিয়া কবলিত ছিল। কিন্তু ভারত সরকার ও গ্লোবাল ফান্ডের সহায়তায় ম্যালেরিয়া মোকাবিলার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা এখন ভালো অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় প্রতি ১০০০ জনে ৩ জনের ম্যালেরিয়া ধরা পড়ছে এবং আক্রান্তদের রোগ নিরাময়ে ১০০ শতাংশ সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আজ নয়াদিল্লির হায়াত রিজেন্সিতে অনুষ্ঠিত ম্যালেরিয়া নির্মূলীকরণে এশিয়া প্যাসিফিক লিডার্স কনক্লেভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ত্রিপুরায় ৫১,২৪০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন এবং ১৬ জন প্রাণ হারান।
২০১৬ সালে ৩২,৫২৫ জন আক্রান্ত হয়ে ১৪ জন প্রাণ হারান। তারপর থেকে ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় রাজ্যে স্ক্রিনিং বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ২০২২ সালে জনসংখ্যার ২২.১৫ শতাংশ লোকের স্ক্রিনিং করা হয় যা নাকি ২০১৬ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ফলে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত লোকের সংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
কনক্লেভে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১০.০৬ লক্ষ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১.৮০ লক্ষ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯.২৫ লক্ষ দীর্ঘস্থায়ী ঔষধি যুক্ত মশারি বণ্টন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও ১৮০ লক্ষ মশারি বিতরণের জন্য মজুত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরাতে ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় ম্যালেরিয়ার জীবাণু নিয়ন্ত্রণে স্পে জীবাণু ধ্বংসকারী মাছ ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজ্যের বিশাল স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দৌলতে এখন দুর্গম এলাকাগুলিতেও পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তেমনি প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন বাস্তবায়নের কারণেও পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে এখন।
এভাবে দৃঢ় প্রচেষ্টার মাধ্যমে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ত্রিপুরাও ২০৩০-এর মধ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূলীকরণে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। এই কনক্লেভে বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীগণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।