অনলাইন ডেস্ক, ৫ এপ্রিল।। নির্বাচনের সময় পর্ন তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে হাজিরা দিতে আসা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়ম অনুযায়ী গ্রেপ্তার হয়েছেন। ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট আদালতে পৌঁছানোর পর মামলা শুরুর সময় তিনি পুলিশ হেফাজতে থাকবেন।
ট্রাম্পকে হাতকড়া পরানো না হলেও তার আঙুলের ছাপ নেয়ার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আদালতকক্ষে যাওয়ার আগে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকে তিনি পুলিশ হেফাজতে আছেন।
মঙ্গলবার বহুল আলোচিত এ মামলার হাজিরার আগে কোর্ট হাউসে যাওয়ার সময় হাত নাড়েন ট্রাম্প। তবে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কিছু বলেননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট আদালতে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হলেন। তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন ট্রাম্প।
দিনের প্রথম বার্তায় ওই আদালতকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। বিবিসি জানায়, এক ই-মেইল বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের প্রজাতন্ত্রের জন্য আজ একটি দুঃখের দিন’। ‘গ্রেপ্তারের আগে এটি আমার শেষ ই-মেইল’ শিরোনামে একটি ই-মেইল ট্রাম্পের মেইলিং তালিকায় এসেছে। যেখানে একটি তহবিল সংগ্রহের লিঙ্ক যুক্ত করে তিনি মার্কিন জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমেরিকাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।’
এতে ট্রাম্প উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘মার্ক্সবাদী তৃতীয় বিশ্বের দেশ’ হয়ে উঠছে।এরপর ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি বার্তা পোস্ট করেছেন। এতে তিনি এই মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিউইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতের অবস্থানকে অত্যন্ত অনুপযুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে, এই অঞ্চলে রিপাবলিকান ভোটারের সংখ্যা মাত্র এক শতাংশ।এ ছাড়াও, আদালতের বিচারক জুয়ান মার্চানকে ‘অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, তার পরিবারও ‘ট্রাম্প বিদ্বেষী’ হিসেবে সুপরিচিত।
৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ করার জন্য তাকে অর্থ ঘুষ দিয়েছিলেন। পর্ন ছবির ওই তারকা জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক ছিল। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প।