স্টাফ রিপোর্টার, গন্ডাছড়া, ২৮ মার্চ।। নিখোঁজ মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা গন্ডাছড়া মহকুমায়। মৃতার পরিজনদের অভিযোগ নিখোঁজ মহিলাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তে গন্ডাছড়া মহকুমা থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত গিরাচন্দ্র পাড়ায়।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে গিরাচন্দ্র পাড়ার বাসিন্দা রনজয় ত্রিপুরার স্ত্রী বছর চল্লিশের বৃহবালা ত্রিপুরা অন্যান্য দিনের মতোই শনিবার সকাল নাগাদ বনজ সব্জি খোঁজে আনতে বাড়ী থেকে বের হয়। ওইদিন বিকেল গড়িয়ে গেলেও বৃহবালা বাড়িতে ফিরে না আসায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। শনিবার পরিবার পরিজনরা রাত পর্যন্ত বহু খোঁজাখুঁজি করেও বৃহবালার কোন খোঁজ না পেয়ে ব্যর্থ মনোরথে বাড়িতে ফিরে আসে।
রবিবার সাতসকাল থেকেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে তল্লাশীতে নামে বৃহবালার পরিজনরা। সারাদিন খোঁজাখুঁজি করার পর বিকেল নাগাদ নিজ বাড়ী থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে একটি লুঙ্গার কিনারে বিবস্ত্র এবং গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় বৃহবালা ত্রিপুরার মৃতদেহ দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে গন্ডাছড়া মহকুমা থানায় খবর পাঠানো হয়।
সংবাদ পেয়েই গন্ডাছড়া মহকুমা থানার ওসি পলাশ দত্ত এবং সাব-ইন্সপেক্টর কাজল দেবনাথ বিশাল পুলিশ ও টি এস আর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে পৌছায়। সোমবার ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরিজনদের অভিযোগ বৃহবালা ত্রিপুরাকে গণধর্ষণের পর পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কিন্তু মৃতার পরিজনদের অভিযোগ অনুযায়ী বৃহবালা ত্রিপুরার মৃত্যুটি রহস্যাবৃত এবং রয়েছে ধোঁয়াশা। হত্যা না আত্মহত্যা তানিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন গন্ডাছড়া মহকুমা থানার পুলিশ। সোমবার বৃহবালা মৃত্যুর ঘটনাটি সম্বন্ধে ওসি পলাশ দত্তের নিকট জানতে চাইলে ওসি কোন কথাই বলতে নারাজ।