দিল্লিতে মন্ত্রীত্ব বেছে নিতে পারেন প্রতীমা, ধনপুরে হতে চলেছে উপনির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৮ মার্চ।। এমনিতেই ভোট পরবর্তী ভয়াবহ হামলায় রক্তাক্ত  ত্রিপুরা। চলেছে তাণ্ডব। এর মাঝে ফের ভোটের সম্ভাবনা চাগাড় দিয়ে উঠল। আর সেটা হলো মোদীর উপস্থিতিতে এ রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় বিজেপি  সরকারের নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান থেকেই।

বুধবার দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন ড. মানিক সাহা। একইসাথে শপথ নেন মন্ত্রিসভার ৮ সদস্য। আগরতলার আস্তাবল ময়দানে বিজেপি সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মণ। সবাইকে প্রণাম করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন ড.মানিক সাহা।

নতুন মন্ত্রিসভার তালিকায় আছেন, রতন লাল নাথ, প্রনজিৎ সিংহ  রায়, সান্তনা চাকমা, সুশান্ত চৌধুরী, টিঙ্কু রায়, বিকাশ দেববর্মা, সুধাংশু  দাস ও শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছে নতুন মুখ। বাদ গেছেন কয়েকজন মন্ত্রী। তবে সর্বাধিক আলোচিত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তাঁকে এ রাজ্যের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী বলে ধরে নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা ছিল তুঙ্গে। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানিক সাহার নামে চূড়ান্ত শিলমোহর দেয় বিজেপি।

তখনই স্পষ্ট হয় প্রতিমা ভৌমিক মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন না। এরপর ধরে নেওয়া হয় তিনি হবেন উপমু়খ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সেরকমও কিছু হল না। প্রতিমা ভৌমিক সাংসদ। তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের আলোচনা প্রতিমা ফের দিল্লিতে মন্ত্রীত্ব বেছে নেবেন। সেক্ষেত্রে তিনি যে কেন্দ্র থেকে জয়ী সেই ধনপুরে হতে চলেছে উপনির্বাচন।

ত্রিপুরায় ধনপুর বিশেষ চর্চিত কেন্দ্র। এখান থেকে টানা মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হতেন মানিক সরকার। গত ২০১৮ সালের ভোটে ধনপুর থেকে মানিক সরকার জয়ী হন। পরাজিত হন প্রতিমা ভৌমিক। তবে সেবারেই ত্রিপুরায় টানা পঁচিশ বছরের বাম জমানার পরিবর্তন হয়েছিল।

বিজেপি জোট সরকার গড়ে। এবারের ভোটে সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার আর ভোটে লড়াই করেননি। ধনপুর থেকে সিপিআইএমকে পরাজিত করেন বিজেপির প্রতিমা ভৌমিক। ধনপুরের  ফলাফল বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, উপজাতি দল তিপ্রা মথা বিপুল বাম ভোট কেটে নেওয়ায় জিতেছে বিজেপি।

শুধু ধনপুর নয় রাজ্যের অন্তত ২১টি আসনে বাম-কংগ্রেসের পরাজয় হয়েছে তিপ্রা মথার ভোট কেটে নেওয়ায়। রাজ্য বামফ্রন্ট জানিয়েছে, এই ভোট ভাগাভাগির কারণে জয়ী হয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। রাজ্যের ষাট শতাংশ ভোট গেছে বিরোধী পক্ষে। আর ভোট ভাগের কারণে আসন জিতেছে বিজেপি।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?