স্টাফ রিপোর্টার, বিলোনীয়া, ১ ফেব্রুয়ারী।। কোটি কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দিব্যি অনয়াসে চলছে বিলোনিয়া শহরে বাইকের শোরুম গুলিতে বাইক ব্যবসা । শীতঘুমে প্রশাসন । বিলোনিয়া শহরে বাইকের শোরুম গুলিতে প্রতিনিয়ত যেভাবে বাইক ঢুকছে বলা যায় বিলোনিয়া শহরের প্রতি ঘরে মাথাপিছু বাইক হিসাব করলেও এত পরিমান বাইক হবেনা ।
তাহলে বাইক গুলি যায় কোথায় ,শুরু হয়েছে গুঞ্জন । এত পরিমান বাইক পাচারকারীদের হাত হয়ে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ পাচার হচ্ছে যা প্রশাসনের সর্বস্তরে জানা থাকলেও কিন্তু কোন ধরনের পদক্ষেপ যে নেই।
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিলোনিয়া শহরকে নাকা বন্দি করা হয়েছে । সেখানে চেকিং এর সময় বিলোনিয়া শহরে একটি গাড়ি ভর্তি বাজাজ কোম্পানির বাইক ঢুকছিল। কাগজ পত্র দেখানোর কথা বললে গাড়ির চালক প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি । এমন কি ইউ বিল পর্যন্ত দেখাতে পারেনি । তখন গাড়িটিকে নিয়ে আসা হয় বিলোনীয়া কর দপ্তরের অফিসে ।
পরবর্তী সময়ে মালিক এসে ইউ বিল জমাদেয় বলে জানান আয়কর দপ্তরের আধিকারিক তড়িৎ দেববর্মা । কিন্তু সূত্রের খবর গাড়ি টি যখন আটক করা হয় তখন ইউ বিল দেখাতে পারেনি । তখন বিলোনীয়া বাজাজ শোরুমের কর্নধার তড়িঘড়ি করে আগরতলা থেকে ইউ বিল এনে জমা দেয় তখন সময়ের অনেক ফারাক ছিল।
পরবর্তী সময়ে সে কাগজ নিয়ে বিলোনীয়া বাজাজ বাইক শোরুমের শ্রিরাম মোটরর্স এর কর্নধার অরুন মজুমদার ইউ বিলের কাগজপত্র নিয়ে টেক্স অফিসে দেখায় । কিন্তু এখনো বাইক সমেত গাড়ীটি রয়ে গেছে টেক্স অফিসে । কর দপ্তরের আধিকারিকরা বিষয়টা নিয়ে অনুধাবন করছেন । কিন্তু বিষয়টা সম্ভবত এ প্রথম প্রকাশ্যে এলো ।
বছরকে বছর এই ভাবে প্রতিটি বাইক শোরুমে ইউ বিল না কেটে বাইক আনছে বাইক গুলি বাংলাদেশ পাচার হচ্ছে বলে জনমনের ধারনা না হলে এত বাইক কোথায় যাচ্ছে এনিয়ে জনমনে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে । যা নিয়ে প্রশাসন বা পরিবহন দপ্তরের তেমন কোন পদক্ষেপ নেই, বিলোনীয়া বাসীর বক্তব্য জেলা থেকে মহকুমা প্রশাসন, এমন কি কর দপ্তর সকলে অবগত আছে এ বিষয়ে কি ভাবে কোটি কোটি টাকা কর ফাকি দিচ্ছে এ বাইকের শোরুমের মালিকেরা ।