অনলাইন ডেস্ক, ২৯ জানুয়ারী।। ইরানে ২০২৩ সালের প্রথম ২৬ দিনেই ৫৫ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছে বলে জানিয়েছে নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)। সংস্থাটির দাবি, হিজাব বিতর্ক ঘিরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে জর্জরিত দেশের আম-জনতার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে তেহরান। এই ৫৫ জনই যে হিজাব বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন তা নয়।
তবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে গেলে পরিণতি যে কতটা কঠোর হতে পারে তা প্রমাণ করতেই এই মৃত্যুদণ্ডের হার বাড়ানো হয়েছে বলে মত বিভিন্ন মহলের। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িত থাকার দায়ে সম্প্রতি ইরানে তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১৮।
আইএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের প্রথম ২৬ দিনে মাদক মামলার ৩৭ আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এছাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। হিজাব প্রসঙ্গে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বর্তমানে ১০৭ জনের ওপরে মৃত্যুদণ্ডের খাঁড়া ঝুলছে বলে বিভিন্ন সূত্রের খবর।
আইএইচআর-এর ডিরেক্টর মাহমুদ আমিরি মোঘাদ্দামের কথায়, সরকারের তরফে কার্যকর করা সমস্ত মৃত্যুদণ্ডের পিছনেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।মূলত মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করতেই এই আয়োজন। তার দাবি, আন্তর্জাতিক স্তরে বিষয়টি নিয়ে তেমন প্রতিক্রিয়া না দেখা যাওয়ায় ‘প্রশাসনের সাহস আরও বাড়ছে’।
দেশটিতে ২০২২ সালে মোট কতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তার মোট হিসাব এখনও প্রকাশ করা হয়নি কোথাও। তবে আইএইচআর-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের কাছে যা খবর, তাতে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ইরানে কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করা হয়েছে।