স্টাফ রিপোর্টার, খোয়াই, ১৪ ডিসেম্বর।। কৃষকদের রোজগার বৃদ্ধি পেলেই রাজ্যের উন্নয়ন ও অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেখানো দিশাতেই রাজ্যের কৃষকদের কল্যাণে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে সরকার। বিজ্ঞানসম্মত চাষাবাদে কৃষকদের অভ্যস্ত করে তুলতে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
আজ খোয়াই ব্লকের সিঙ্গিছড়ায় ১ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতাসম্পন্ন নবনির্মিত চাল গুদামের উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় একথা বলেন। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে। বিজ্ঞানসম্মত চাষাবাদের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি ভর্তুকি মূলো দেওয়া হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় চেবরির খোয়াই দিব্যোদয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে রাজ্যের প্রথম এগ্রি ড্রোন প্রযুক্তির সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস ও কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বরিষ্ঠ কৃষি বিজ্ঞানী মনোজ সিং সাচান।
কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার করে কিভাবে কৃষি জমিতে কীটনাশক ছড়ানো হয় তা প্রত্যক্ষ করার পরামর্শ দেন। দিব্যোদয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের সাথে উন্নত প্রথায় চাষাবাদে মতবিনিময় করেন।
সিঙ্গিছড়ায় চাল গুদামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের আত্মনির্ভর করে তুলতে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ঋণের পরিমাণ রাজ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে কৃষকগণ প্রায় ১ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন। তাছাড়াও পিএম কিষাণ প্রকল্পে কৃষকরা বছরে ৬ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন।
কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণের উপরও সরকার গুরুত্ব আরোপ করেছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল দেশ বিদেশে রপ্তানিরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কৃষকদের আয় বাড়াতে সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে। এতে রাজ্যের কৃষকগণ লাভবান হচ্ছেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র কৃষির বিকাশই নয় রাজ্যের সার্বিক বিকাশে সরকার কাজ করছে।
রাজনৈতিক রঙ দেখে নয় দলমত নির্বিশেষে সমস্ত অংশের মানুষের কাছে উন্নয়ন কর্মসূচির সুফল পৌঁছে দিচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার ও ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের সচিব অমিত রক্ষিত। উপস্থিত ছিলেন খোয়াই পুরনিগমের চেয়ারপার্সন দেবাশিস নাথ শর্মা, খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দাস প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান টিংকু ভট্ট চোর্য। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উপঅধিকর্তা অরবিন্দ দেববর্মা। উল্লেখ্য, নবনির্মিত চাল গুদাম নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।