অনলাইন ডেস্ক, ১২ ডিসেম্বর।। গত কয়েক বছরে আর্জেন্টিনা দলটা বদলে গেছে অনেকটাই। হতাশার সময় পেছনে ফেলে মাঠে ও মাঠের বাইরে লিওনেল মেসিরা হয়ে উঠেছেন দুর্দান্ত। অন্যদিকে চার বাছর আগে রাশিয়ায় ফাইনাল খেলা ক্রোয়েশিয়া তাদের সেই দুরন্ত ছন্দটাই ধরে রেখেছে। সব মিলিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এই দুই দলের মধ্যে শক্ত লড়াইয়ের বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। আর্জেন্টিনার জন্য যেখানে ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ড বাধা অতিক্রম করা চ্যালেঞ্জের হবে।
এই মুহূর্তে বিশ্ব সেরা মিডফিল্ডারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা করলে লুকা মদ্রিচের নামটা আসবেই। বয়স ৩৭ হলেও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে বছরের পর বছর অসাধারণ ধারাবাহিকতায় পারফরর্ম করে যাচ্ছেন।
রাশিয়া বিশ্বকাপের পারফারম্যান্সে মদ্রিচ জিতেছিলেন ফিফা বর্ষসেরার স্বীকৃতি। এবারের বিশ্বকাপেও একই ছন্দে খেলে চলেছেন। আর তার সঙ্গে মাতেও কোভাচিচ, মার্সেলো ব্রজোভিচ মিলে ভয়ংকর এক ত্রয়ী গড়ে উঠেছে দলটির মিডফিল্ডে।
ক্রোয়াট খেলোয়াড়রা খুবই স্কিলফুল। মূলত রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলে তারা। সুযোগ পেলেই উঠে আক্রমণে। আর এই আক্রমণ শানানোর মূল কাজটা করে থাকেন তাদের মিডফিল্ডাররা। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচেও যেটা হয়েছে।
সুযোগ খুবই কম তৈরি করেছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু গোলমুখে একটা শট নিয়ে সেটা থেকেই গোল করেছে। ফলে নেইমারের গোলে ব্রাজিল এগিয়ে যাওয়ার পরও লিড ধরে রাখতে পারেনি। টাইব্রেকারে নির্ধারণ হয়েছে খেলার ফল।
নক আউট পর্বে টানা দুই ম্যাচ টাইব্রেকারে জিতেছে ক্রোয়েশিয়া। শেষ ষোলোয় জাপানকে তারা হারায় টাইব্রেকারে। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপেও দেখা গেলে টাইব্রেকার মানেই ক্রোয়াটদের জয়। ফাইনালের আগে দুই নকআউট ম্যাচ টাইব্রেকারে জিতে নেয় মদ্রিচরা। অর্থাৎ রীতিমতো টাইব্রেকার স্পেশালিস্ট দল তারা। আর্জেন্টিনার জন্য সেটাও হবে বড় চ্যালেঞ্জ।