অনলাইন ডেস্ক, ১০ ডিসেম্বর।। সম্প্রতি ঢাকায় একটি বড় রাজনৈতিক দলের বিক্ষোভের আগে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর সহিংসতার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল শুক্রবার, ডিসেম্বর ৯, ২০২২, মার্কিন প্রেসিডেন্ট দপ্তর হোয়াইট হাউস থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এই আহবান জানানো হয়। একই সঙ্গে সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের ওপর গত বুধবার পুলিশ গুলি চালালে একজন নিহত হন, আহত হন ৬০ জনের বেশি।
ভয়েস অব আমেরিকার বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকায় শনিবার (১০ ডিসেম্বর, ২০২২) বিএনপির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশকে সামনে রেখে গত মাসে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই বিক্ষোভে ১০ লাখ লোক অংশ নিতে পারে বলে দলটির নেতা-কর্মীরা বলে আসছেন। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, এসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি ‘খুব, খুবই নিবিড়ভাবে’ পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের ভয়ভীতি, হুমকি, হয়রানি ও সহিংসতামুক্ত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অধিকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবেই জানিয়ে আসছে। জন কিরবি আরও বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই, তারা হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকবে।
কোনো দল কিংবা প্রার্থীকে হুমকি, অন্য কোনো দলের বিরুদ্ধে উসকানি বা সহিংস আচরণ করা যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’ জন কিরবি বলেন, ‘সহিংসতার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্তের’ জন্যও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় ওয়াশিংটন।’ বাংলাদেশে আগামী বছর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বিক্ষোভ-সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।