অনলাইন ডেস্ক, ১০ ডিসেম্বর।। নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্যে শেষ ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে এক গোলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। সেই গোলের পর বাঁধভাঙা উচ্ছাসে মেতে থাকা নেইমার সতীর্থরা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন, খেলা তখনও শেষ হয়নি। এক গোলের পরেই যেন ভেবে ফেলেছিলেন, শেষ চার নিশ্চিত তাদের। আর সেখানেই ভুলটা করে বসে সেলেসাওরা। মুহূর্তের অসাবধানতাতেই গোল হজম করে বসে তারা।
খেলা টাইব্রেকারে গড়ালে ৪-২ গোলে পরাজয়ে বিদায় হয়েছে তিতের শিষ্যদের। আর এমন বিদায় মেনে নিতে পারছেন না দলটির অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা। হারের পর ব্রাজিল অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা বলেছেন, ‘এই বিদায় মেনে নেওয়া কঠিন। যা খুবই বেদনাদায়ক, তবে আমাদেরকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতেই হবে। আমি ছেলেদের নিয়ে খুব গর্বিত, তারা যা করেছে দুর্দান্ত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হারতে হয়েছে আমাদের।
কারণ খেলা ফুটবল। এখানে কেউ হারবে, কেউ জিতবে। ভাগ্যদেবী আজ আমাদের পক্ষে ছিলেন না।’ ৩৮ বছর বয়সী এই ব্রাজিল অধিনায়ক কাতারেই নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়াটা তার কাছে সবচেয়ে বেশি কষ্টের কারণ, এবারই শিরোপা জয়ের শেষ সুযোগ ছিল। ছিল হেক্সা মিশন সম্পন্নেরও। হেক্সা একদিন ধরা দেবে, তবে থিয়াগো সিলভা যে আর কোনোদিন খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা জয়ের স্বাদের সুযোগ পাবেন না।
তাই তো সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি বিশ্বকাপের শিরোপার ছোঁয়াটা আর কোনোদিন পাবো না। যা আমার জন্য দুঃখজনকভাবে। ভবিষ্যতে অন্য কোনো চরিত্রে সুযোগ পাবো কি না জানি না। পেলে সেখানে নিজের সেরাটা নিংড়ে দেবো।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা জীবনে অনেক হতাশার অধ্যায় পাড় করেছি। আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময়ও ফেলে এসেছি। এটা আমাদের শেষ সুযোগ ছিল, কিন্তু আমরা কাজে লাগাতে পারিনি।
যা আমাকে কষ্ট দেবে অনেকদিন।’এমন গোলের কারণ জানতে চাইলে তিনি দলে গা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। থিয়াগো বলেন, ‘এভাবে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল আসবে তা আমরা ভাবতেই পারিনি। আমি মনে করি ক্রোয়েশিয়ার গোলের আগ মুহূর্তে হঠাৎ করেই যেন আমরা আমাদের একাগ্রতা হারিয়ে ফেলেছিলাম। সবাই এলোমেলো হয়ে থাকার সুযোগটাই নিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। ফলে ম্যাচটা আমাদের হাত থেকে ফসকে গেছে।’