স্টাফ রিপোর্টার, জিরানীয়া, ২ ডিসেম্বর৷৷ রাজ্য সরকার সব অংশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে৷ সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুুযোগ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে৷ আজ জিরানীয়া মহকুমার রাণীরগাঁও বিদ্যালয় মাঠে জিরানীয়া ব্লকভিত্তিক লাভার্থী সম্মেলন ও কৌশল মেলার উদ্বোধন করে একথা বলেন তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী সুুশান্ত চৌধুরী৷
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ব্লকভিত্তিক লাভার্থী সম্মেলনের উদ্দেশ্য হল জিরানীয়া ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও এডিসি ভিলেজ থেকে যারা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে সুুবিধা পেয়েছেন তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা৷ যাতে করে আগামী দিনে সরকার আরও অনুপ্রেরণা পেয়ে আরও বেশী পরিমাণে সরকারি সহায়তা প্রদান করতে পারে৷ উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে সরকার রাজনীতির ঊর্দ্ধে উঠে কাজ করছে৷
কারণ গরীব মানুষকে নিয়ে রাজনীতি কাম্য নয়৷ সরকারের লক্ষ্যই হল সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস৷ এই মূল মন্ত্র নিয়ে সরকার কাজ করছে৷ যাতে করে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়া যায়৷ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী বলেন, প্রতি ঘরে সুুশাসন দেওয়ার জন্য সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ৷ সরকার জনগণের কাছে যাচ্ছে৷ জনগণকে এখন আর সরকারের কাছে যেতে হচ্ছে না৷
আগামী দিনে প্রত্যেক অংশের জনগণকে নিয়ে সরকার আরও উন্নতির পথে ত্রিপুরাকে নিয়ে যাবে৷ জন জীবন মিশনের মাধ্যমে প্রতি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি তথ্য তুলে ধরে বলেন, মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জল জীবন মিশনে বাড়ি বাড়ি পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের সংযোগ ছিল ১,৫১৩ টি, এখন সেটা হয়েছে ৮,৫৩২টি৷ সামাজিক ভাতা পাচ্ছেন ৬,৭৭২ জন৷
মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে সরকারের সমস্ত কর্মসূচিতেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে৷ উপকৃত হয়েছেন জনগণ৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন বলেন, প্রতিটি ব্লকে এই ধরণের সম্মেলন করা হচ্ছে মূলত সুুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ফিটব্যাক নেওয়া, যাতে করে সরকারি প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করা যায়৷
অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ৷ উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক শান্তিরঞ্জন চাকমা, বিডিও পরিতোষ দেববর্মা, জিরানীয়া বিএসি’র চেয়ারম্যান শুভমনি দেববর্মা, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমুখ৷ অনুষ্ঠান শেষে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর থেকে ১০ জন সুুবিধাভোগীকে শূকর পালনে সহায়তা দেওয়া হয়৷
মৎস্য দপ্তর থেকে ১জন মৎস্যচাষিকে অটোরিক্স ও আইস বক্স দেওয়া হয়৷ তাছাড়াও ৩টি স্বসহায়কদলকে ৪৮ লক্ষ টাকা ঋণ, শিক্ষা দপ্তর থেকে তিনজনকে ট্রাই সাইকেল, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর থেকে একটি স্বসহায়ক দলকে ও ২জন কৃষককে বিভিন্ন ক’ষি সামগ্রী দেওয়া হয়েছে৷ ব্লকভিত্তিক লাভার্থী সম্মেলন উপলক্ষে ১৪টি দপ্তরের ১৮টি প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়৷