স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২ ডিসেম্বর৷৷ ভারত সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ত্রিপুরা সরকারের যৌথ উদ্যোগে একাদশ কৃষি সুুমারী ২০২১-২২ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷ এই কৃষি সুুমারীর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ভবিষ্যতে কৃষি উন্নয়নের জন্য রূপরেখা নির্ণয় করা৷
এই কৃষি সুুমারী তিনটি পর্যায়ে সম্পন্ন হবে৷ প্রথম পর্যায়ের কৃষিভিত্তিক বছর হবে ১ জলাই, ২০২১ থেকে ৩০ জন, ২০২২ পর্যন্ত, দ্বিতীয় পর্যায়ের কৃষিভিত্তিক বছর হবে ১ জলাই, ২০২৩ থেকে ৩০ জন ২০২৪ পর্যন্ত, তৃতীয় পর্যায়ের কৃষিভিত্তিক বছর ১ জলাই, ২০২৩ থেকে ৩০ জন, ২০২৪ পর্যন্ত৷
এই কৃষি সুুমারীর সূচনা করা হয় ২৮ জলাই, ২০২২ তারিখে নয়া দিল্লির কৃষি ভবনে৷ ত্রিপুরা কৃষি সুুমারী কমিশনারের পক্ষ থেকে এই প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, ত্রিপুরা রাজ্যের মোট ৮৯৭টি রাজস্ব গ্রামে মোবাইল/ট্যাবলেটের মাধ্যমে অনলাইন পদ্ধতিতে উক্ত কৃষি সুুমারীর তথ্য সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে৷
ত্রিপুরা সরকারের রাজস্ব দপ্তরের তত্ত্বাবধানে, জেলা প্রশাসন, মহকুমা প্রশাসন, অর্থ ও পরিসংখ্যান দপ্তর, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর, উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তর এবং বিভিন্ন দপ্তরের সক্রিয় সহযোগিতায় এই কৃষি সুুমারীর প্রথম পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের কাজ ৩১, ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পর্ণ করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে৷
মহকুমা শাসক কর্তৃক নির্বাচিত তথ্য সংগ্রহকারী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অ্যাপস/সফটওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাণ্ড-হ্যাল্ড ডিভাইস ব্যবহার করে ডিজিটাইজড ল্যাণ্ড রেকর্ডের সাহায্যে গৃহস্থালীর তদন্ত করে তথ্য সংগ্রহ করছেন৷
অতএব, ত্রিপুরার সমস্ত রাজস্ব গ্রামের সকল জনগণের কাছে এই আবেদন যে, তাঁরা যেন কৃষি সুুমারী কাজে নিযুক্ত সকল স্তরের সরকারি কর্মচারিগণকে সবরকম প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করেন৷ এই কৃষি সুুমারীকে সফল করে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনসাধারণকে সর্বতোভাবে সহায়তা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে৷