স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৫ নভেম্বর৷৷ উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা রাজ্যগুলির ক্যাপিটেল ইনভেস্টমেন্টের জন্য আর্থিক সহায়তা ছয়গুণ বাড়িয়ে ১ লক্ষ কোটি টাকা করার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ তারমধ্যে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ত্রিপুরাকে দেওয়া হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা৷
আজ নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সাথে প্রাকবাজেট বৈঠকে অংশ নিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে বিবেচনার জন্য কিছু দাবি পেশ করেন এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক বাজেট উপহার দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান৷ বৈঠকে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কমপ্লেক্সে এইমসের মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার দাবি রাখেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা৷
তিনি বলেন, এতে এই অঞ্চলের মানুষ যেমন উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা লাভ করবেন তেমনি স্বাস্থ্য পর্যটন ক্ষেত্রের বিকাশে সহায়ক হবে এই প্রতিষ্ঠান৷ আগরতলায় একটি ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের জন্য উপমুখ্যমন্ত্রী ৪১৪ কোটি টাকার বরাদ্দ দাবি করেন৷ তিনি বলেন, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে এই কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে৷ উপমুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকায় সার্বিক উন্নয়নের কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য ৫০০ কোটি টাকার অনুদান দেওয়ার দাবি করেন৷
ভারত সরকারের সাথে অংশীদারিত্বমূলক ব্যবস্থায় গ্রে ফার্টিলাইজার ও গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য একটি ইন্টিগ্রেটেড প্ল্যান্ট স্থাপনের প্রস্তাব রাখেন উপমুখ্যমন্ত্রী এবং বলেন, এই প্ল্যান্টে রাজ্যে বহুল পরিমাণে অবস্থিত প্রাকৃতিক গ্যাস ও ক্লিন এনার্জির উৎসগুলিকে কাজে লাগিয়ে গ্রিন প্রযুক্তির মাধ্যমে সার ও হাইড্রোজেন উৎপাদন করা যাবে৷
বৈঠকে গ্রামীণ ও জনজাতি অধ্যষিত এলাকায় সোলার মাইক্রো গ্রিড স্থাপনের জন্য ১০০ কোটি টাকার সহায়তা দাবি করে উপমুখ্যমন্ত্রী জানান, গ্রামীণ এলাকায় পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বিশেষ করে সোলার পাওয়ার ব্যবস্থা করে মানুষের বাড়িতে বিদ্যৎ সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা অনেকটা এগিয়ে গেছে যা নাকি প্রধানমন্ত্রীও তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রশংসা করেছেন৷ তিনি বলেন, আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সমস্ত জনজাতি এলাকায় সোলার মাইক্রো গ্রিড বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ সেজন্য ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে৷
রাজ্য সরকার চট্টগ্রাম (বাংলাদেশ) এবং আগরতলা (ভারত)-এর মধ্যে বিমান যোগাযোগ চালু করার জন্য ভায়্যাবিলিটি গ্যাপ ফাণ্ড দিচ্ছে৷ তেমনি আগরতলা ও ঢাকার মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য ভায়্যাবিলিটি গ্যাপ ফাণ্ড দেওয়ার জন্য তিনি ভারত সরকারকে অনুরোধ জানান যাতে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক আদান প্রদান বৃদ্ধি পায়৷
তিনি ত্রিপুরায় জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ২০০ কোটি টাকা দাবি করেন এবং পেঁচারথল- কৈলাসহর- ধর্মনগর এবং বিলোনীয়া- সাবম- কৈলাসহরের মধ্যে আরও একটি বিকল্প রেললাইন নির্মাণ বিষয়ও তুলে ধরেন৷