অনলাইন ডেস্ক, ১৩ নভেম্বর।। লিভার শরীরকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। লিভারকে ডিটক্সিফাই করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার আছে যেগুলো লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করতে পারে।
লিভারের কাজ
লিভার বা যকৃৎ থেকে পিত্তরস নিঃসৃত হয় যা খাদ্য পরিপাকের, বিশেষ করে স্নেহজাতীয় খাদ্য পরিপাকের একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। লিভারে ইউরিয়া তৈরি হয়।
এ ছাড়া লিভারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। এ জন্য লিভারকে দেহের জৈব রসায়নাগার বলে।
লিভারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কাজের মধ্যে রয়েছে:
লিভারে পিত্তরস তৈরি হয় যা লিভার থেকে নিঃসৃত হয়ে পিত্তথলিতে জমা থাকে। প্রয়োজনানুযায়ী অন্ত্রে পিত্তরসের সরবরাহ ঘটে।
রক্তের অতিরিক্ত গ্লুকোজ লিভারে গ্লাইকোজেন রূপে সঞ্চিত হয় ৷ প্রয়োজনে গ্লাইকোজেন ভেঙে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা সঠিক রাখে।
লিভারে ভিটামিন (এ,ডি,ই,কে,বি৬ ও বি১২) সঞ্চিত হয়।
রক্তের প্লাজমা প্রোটিন লিভারে সংশ্লেষিত হয়।
লিভারে লোহিত রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিন ভেঙে বিলিরাবিন ও বিলিভার্ডিন সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার ফলে মানবদেহে উৎপন্ন বিষ জাতীয় পদার্থ লিভার কোষের অভ্যন্তরে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রশমিত হয়।
কী খাবেন: পুষ্টিবিদ অঞ্জলি মুখার্জি একটি অপরিষ্কার লিভারের প্রভাব সম্পর্কে তুলে ধরেছেন।
এই বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রভাবে ব্রণ, বিষণ্নতা, তীব্র ক্ষুধা ও কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমে সমস্যা ও প্রদাহসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।
এটি সুস্থ লিভারের জন্য ডায়েটের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আপনি যেসব খাবার খান সেগুলো লিভারের স্বাস্থ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
খাবার যেমন- নিম, রসুন, কফি, গ্রিন টি, আঙুর, অলিভ অয়েল এবং ওটমিল লিভার সুরক্ষায় সহায়তা করে। এ ছাড়া উদ্ভিজ্জ জাতীয় খাবারের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন। এগুলো লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই খাদ্যতালিকার মধ্যে রয়েছে- তরমুজ, পেঁপে, লেবু, আভাকোডা, সবুজ শাক- ব্রোকলি, গাজর, কলা, বিটরুট, ডুমুর প্রভৃতি।
এইগুলো ছাড়াও লিভার সুস্থ রাখার আরেকটি সেরা উপায় হল অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা।