অনলাইন ডেস্ক, ১৩ নভেম্বর।। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আবহাওয়া পরিবর্তনের আভাস মিলছে। সূর্য ডুবতে না ডুবতেই ঠান্ডা ভাব। ফ্যান চালালে শীত করছে, বন্ধ রাখলে গরম। শীতের শুরুর এই সময়ে সর্দি-জ্বর-হাঁচিতে কাবু ছোট থেকে বড়। কিছু টোটকা, ভেষজ পথ্য যদি ছোট-বড় সকলেই প্রতিদিন খান তাহলে সর্দি, হাঁচি, কাশি থেকে মুক্তি পাবেন। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
কীভাবে সুস্থ থাকবেন?
সারা দিন হাঁচি বা সকালে হাঁচি হলে ১ চামচ হলুদের টুকরো ঈষৎ উষ্ণ দুধের সঙ্গে ২-৩ বার খেলে উপশম হয়।
সকাল সাতটায় ও সন্ধ্যা নামার আগে বিকেল পাঁচটায় দশ মূল তৈলের নস্য ২ ফোঁটা করে ২ নাকে নিলে ভালো হয়।
১-২ চামচ হলুদ গুঁড়ো ফুটন্ত পানিতে ফেলে যে বাষ্প তৈরি হবে সেটা নাক-মুখ দিয়ে গ্রহণ বা ইনহেলার করলে উপকার। দিনে ৩-৪ বার করা যায়।
কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়লে
২-৩টি পানপাতার রস বের করে আধ চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ১-২ বার চেটে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৪-৫টি গোলমরিচ ও এক চিমটে হলুদ নিয়ে গোলমরিচের পাতার মধ্যে মুড়ে সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খেলে ফলপ্রদ।
সর্দি, কাশি, নাক-কান-গলা বন্ধ হলে
সিকি চামচ আদার রস ও সিকি চামচ রসুনের রস, আধ চামচ তুলসীপাতার রস, ২ চামচ মধু ও এক চিমটি গোলমরিচ ভালো করে মিশিয়ে এক থেকে দেড় চামচ ৩-৪ বার চেটে খেয়ে পরে হালকা গরম পানি পান করলে উপকার পাবেন।
সিকি চামচ হলুদ গুঁড়ো ও সিকি চামচ যষ্টিমধু গুঁড়োর সঙ্গে পরিমাণমতো মধু মিশিয়ে বটি তৈরি করে সারা দিনে ৫-৬ বার চুষে খেলে গলা চুলকানি ও কাশিতে ভালো মেলে।
শুকনো তুলসী ৪ ভাগ, দারুচিনি ২ ভাগ, শুঁঠ ২, গোলমরিচ ১টি ১৫০ মিলিলিটার পানিতে ৩-৫ মিনিট চায়ের মতো ফোটান। প্রয়োজনে এর সঙ্গে পরিমাণ মতো গুড়, লেবুর রস অথবা কিশমিশ মিশিয়ে ২-৩ বার খেলে সর্বপ্রকার কাশিতে উপশম মেলে।
যষ্টিমধু জলে ফুটিয়ে গার্গল করলেও উপশম হয়।
কাশিতে মধু ও লেবুর রস চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আদার রস এক ভাগ, তুলসীপাতার রস এক ভাগ, বাসক পাতার রস ১ ভাগ, মধু ৩ ভাগ মিশিয়ে খেলে কাশিতে উপকার।
কাশি হলে কাঁচা আমলকী পরিমাণমতো সৈন্ধব লবণের সঙ্গে মিশিয়ে চুষে চুষে খান।
হাফ চামচ আদার রস, ১০-১৫টি তুলসীপাতা, ৩-৫টি গোলমরিচ, ৩-৫টি ছোট এলাচ, ৫-১০টি পুদিনা পাতা, হাফ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো, এক বা দেড় কাপ জলে পরিমাণমতো গুড় ভালো করে মেশান। তারপর চায়ের মতো গরম করে ৩-৪ বার খেলে অ্যালার্জি, কাশি, সর্দি-জ্বর, সাইনাস, নাক বন্ধে ভালো কাজ করে।
অ্যাজমার ক্ষেত্রে
৫-৬টি গোলমরিচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু’বার খান।
৫-৬টি গোলমরিচ, শুঁঠ ১/২ চামচ, লবঙ্গ ৩-৪টি পানিতে ৩-৫ মিনিট ফুটিয়ে চায়ের মতো পান করুন।
কালো কিশমিশ, কাজু, লবঙ্গ, গোলমরিচ, যষ্টিমধু সমভাবে নিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর সেটি এক চামচ নিয়ে এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ২-৩ বার খান।