স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১১ নভেম্বর।। রাজ্যের ৫০,২৪০টি মৎস্যচাষী পরিবারকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনার আওতায় আনা হয়েছে৷ এই প্রকল্প রূপায়নে চলতি অর্থবর্ষে ৪ কোটি ১০ লক্ষ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্য দপ্তরের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি এবং সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে একথা জানান মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্রা৷
তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় প্রতিবছর ৫০ হাজার করে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার মৎস্যচাষী পরিবারকে ৫০০টি করে মাছের পোনা দেওয়ার এবং একদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে৷ প্রধান সচিব জানান, কেন্দ্রীয় সহায়ক প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী অনুসূচিত জাতি অভ্যুদয় যোজনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে তপশিলী জাতি সম্পদায়ের ২৫৭৫ জন মৎস্যচাষীকে সহায়তা প্রদান করা হবে৷ ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের প্রতি ঘরে সুুশাসন কর্মসূচির একটি অংশ হিসেবে এই প্রকল্প চালু হয়েছে৷
প্রধানমন্ত্রী অনুসূচিত জাতি অভ্যুদয় যোজনায় চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৫৭৫ জন তপশিলী জাতি ভুক্ত মৎস্যচাষীকে মাছ চাষের মাধ্যমে আয় ব’দ্ধির জন্য ১০ হাজার টাকা করে মৎস্য চাষ ভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও মাছের চারা দেওয়া হয়েছে৷ এই প্রকল্পে ১০ জন তপশিলী জাতিভুক্ত মৎস্যচাষী নিয়ে গঠিত ৭০টি স্বসহায়ক দলের প্রতি সদস্যকে মৎস্যভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণের জন্য ১০ হাজার টাকা করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে৷ স্বসহায়ক দলগুলিকে মাছের চারাও বিতরণ করা হয়েছে বলে প্রধান সচিব জানান৷
তিনি জানান, পুরাতন জলাশয় পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের জন্য ১ হাজার তপশিলী জাতিভুক্ত মৎস্যচাষীকে সহায়তা প্রদান করা হবে৷ বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য ৩০০ জন তপশিলীভুক্ত মৎস্য চাষীকে সহায়তা প্রদান করা হবে৷এক্ষেত্রে প্রতি সুুবিধাভোগীকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে৷সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব জানান, বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় ত্রিপুরা গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রব’দ্ধি পরিষেবা প্রকল্পের অধীনে মৎস্য দপ্তর দ্বারা প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিট (ফিসারী পি আই ইউ) স্থাপন করা হবে৷ তিনি জানান, নাবার্ডের আর্থিক সহায়তায় মৎস্য দপ্তর ডম্বর জলাশয় এবং রাজ্যের অন্যান্য বড় জলাশয়ে খাঁচায় মাছ চাষের প্রচার প্রকল্প গ্রহণ করেছে৷ এই প্রকল্পে ১৭৬০টি খাঁচায় মাছ চাষ করা হবে৷
যার মধ্যে ১৫০০টি খাঁচা ডম্বর জলাশয় স্থাপন করা হবে৷ ইতিমধ্যে ১০৮০টি খাঁচা স্থাপন করা হয়েছে এবং শীঘই এগুলির উদ্বোধন করা হবে৷ প্রধান সচিব আরও জানান, রাজ্যের চারটি জায়গায় যথাক্রমে শান্তিরবাজার মহকুমার অধীন আই এম সি হ্যাচারি সহ মুহুরীপুর ’ানকেন্দ্র, করবুক মহকুমার অধীনে করবুক এবং শিলাছড়ি ’ানকেন্দ্র এবং অমরপুর মহকুমার ছেছুয়া ’ানকেন্দ্রগুলি শীঘই উদ্বোধন করা হবে৷ তাছাড়া বিশালগড় ব্লকের লালছিমুড়া ভিলেজ কমিটির অধীনে একটি মাছের বাজারেরও উদ্বোধন আগামী ১৪ নভেম্বর হবে বলেও জানান দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্রা৷ সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্য দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা অবনী দেববর্মাও উপস্থিত ছিলেন৷