অনলাইন ডেস্ক, ৭ অক্টোবর।। জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন মাত্র ১৮ রান। হাতে ছিল ১২ বল। ততক্ষণে ভারতের ৮ ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের বোলাররা। তবে চাপেও মনোবল হারাননি রিচা ঘোষ। সাদিয়া ইকবালকে পরপর দুই বলে চার ছয় মেরে ব্যবধান কমিয়ে নিয়ে আসেন। গ্যালারি তখন উল্লাসে ফেটে পড়েছিল। দর্শকরা ‘ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া’ চিৎকারে মুখরিত করে ফেলেছিলেন।
তৃতীয় বলে লং অন দিয়ে সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আলিয়া রিয়াজের হাতে ধরা পড়লেন। গ্যালারির সেই দর্শকরাই তখন ‘পাকিস্তান’ স্লোগান তুলে উল্লাস প্রকাশ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ভারত।
আগের দিন থাইল্যান্ডের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান চিরপ্রতিদ্বদিন্দদের হারালো ১৩ রানের ব্যবধানে। টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর চতুর্থ ম্যাচে হারের স্বাদ পেলেন স্মৃতি মান্দানারা। টস জিতে আগে ব্যাট করা পাকিস্তান ১৩৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ভারতকে। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটার নিদা দারের ৫৬ ও বিসমাহ মারুফের ৩২ রানে ভর করে ১৩৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা।
নিদা পাঁচ বাউন্ডারির সঙ্গে মেরেছেন একটি ছক্কা। গোটা ইনিংসেও ছক্কার সংখ্যা ঐ একটিই। ভারতের হয়ে দীপ্তি শর্মা তিনটি, পুজা ভাসত্রেকার দুটি ও রেনুকা সিংহ একটি করে উইকেট নিয়েছেন। জবাবে ব্যাট করতে নামা ভারত শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। উনিশতম ওভারে রিচা ঘোষ আলোর ঝলক দেখিয়েছিলেন।
তবে ফিরে যেতে হয় তাকে। শেষ ওভারে আইমান আনোয়ার নো বল করলে একটি ফ্রি হিট পায় ভারত। তবে সেটা আর কাজে লাগাতে পারেনি তারা। চতুর্থ বলে রাজেশ্বরিকে বোল্ড করলে নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের ১৩ রানের জয়। ভারতের হারে টুর্নামেন্টের সব এশিয়ার চার সেরা দল (ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ) সবাই হারের স্বাদ পেয়েছে।