স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৬ আগস্ট।। ছাত্র সমাজ হলো দেশের ভবিষ্যত। ছাত্রজীবন হলো মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার শিক্ষা ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রছাত্রীদের গ্রহণ করতে হবে। এজন্য ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও সাহিত্য চর্চার উপরও গুরুত্ব আরোপ করা আবশ্যক।
আজ মহারাণী তুলসীবতী দ্বাদশ শ্রেণী বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একখা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিজের জীবনকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার প্রকৃত সময় হলো ছাত্রজীবন। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এগুতে হবে। পাশাপাশি শৃঙ্খল জীবন শৈলি গড়ে তুলতেও ছাত্রছাত্রীদের অনুশীলন করতে হবে।
তবেই তারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার মহিলা স্বশক্তিকরণের লক্ষ্যে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহারাণী তুলসীবতী দ্বাদশ শ্রেণী বালিকা বিদ্যালয় রাজ্যের অভিজাত বিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম।
ছাত্রীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধুর সম্পর্কের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি। আগামীদিনেও রাজ্যের সুনাম বৃদ্ধি করবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশাব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ভাষণে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, ১২৮ বছরের রাজন্য বিজড়িত এই বিদ্যালয়টি রাজ্যের একটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এই বিদ্যালয় থেকে বহু ছাত্রী পড়াশুনা করে আজ দেশ বিদেশে সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন। বর্তমান রাজ্য সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গুণগত শিক্ষা প্রদানের উপর অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে।
এক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও ছাত্রীদের নিজের সন্তানের মতো শিক্ষাদানের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নন্দন সরকার।
অনুষ্ঠানে মহকুমা শাসক অসীম সাহা, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা চাঁদনি চন্দ্রন ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শিক্ষা আধিকারিক রূপেন রায় উপস্থিত ছিলেন। বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী তৃতীয় শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী এবং একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়।
তাছাড়াও ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ত্রিপুরা মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতী ৩ জন ছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার প্রাপক ছাত্রীদের হাতে পুরস্কারগুলি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা সহ অনুষ্ঠানের অন্যান্য অতিথিগণ।