স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৩ আগস্ট।। আসন্ন দুর্গাপূজার পর আগরতলায় জাঁকজমকপূর্ণ বিসর্জনের আয়োজন করা হবে। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে মায়ের গমন।
আগরতলা পুরনিগম সহ বৃহত্তর আগরতলার পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সেরা দুর্গাপূজার আয়োজকদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে। আজ মুক্তধারা মিলনায়তনে মায়ের গমন এবং শারদ উৎসব সম্মান প্রস্তুতি সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা জানান।
প্রস্তুতি সভায় বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তুতি সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, বর্তমান সরকার গঠিত হওয়ার পর দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছিল। এরপর করোনা অতিমারীর জন্য দুর্গাপূজার পর কার্নিভালের আয়োজন করা যায়নি।
এবার করোনা অতিমারী নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রতিমা বিসর্জনে মায়ের গমন অনুষ্ঠানের আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগরতলায় যেমন সেরা পুজো উদ্যোক্তাদের পুরস্কৃত করা হয় এবার প্রতিটি জেলার সেরা পুজো উদ্যোক্তাদের পুরস্কৃত করা হবে। মায়ের গমন অনুষ্ঠানটি বর্ণময় করে তুলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রস্তুতি সভায় আলোচনার শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে মায়ের গমন এবং শারদ সম্মান প্রদানের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস। আলোচনায় অংশ নিয়ে আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত জানান, আগরতলায় বিভিন্ন রাস্তায় নতুন করে আলোকোজ্জ্বল করার কাজ চলছে।
শারদোৎসবের বিষয়ে আগরতলা পুরনিগম ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে। আলোচনায় যেসব প্রস্তাব এসেছে সেগুলি সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আলোচনায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী অনুষ্ঠান আয়োজনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত প্লাস্টিকের দ্রব্য শারদোৎসবের সাজসজ্জায় ব্যবহার না করতে তিনি বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রস্তুতি সভায় আলোচনা করেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, আগরতলা ক্লাব ফোরামের সভাপতি প্রণব সরকার।
প্রস্তুতি সভায় বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিগণও আলোচনায় অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সদর মহকুমার মহকুমা শাসক অসীম সাহা, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার স্বপন দাস, বরিষ্ঠ সাংবাদিক সঞ্জীব দেব এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুব্রত চক্রবর্তী৷