আগরতলা-চিটাগাং বিমান পরিষেবা খুব শীঘ্রই চালু হচ্ছে, রাজ্য মন্ত্রিসভায় গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৩ আগস্ট।। আগরতলা-চিটাগাং বিমান পরিষেবা খুব শীঘ্রই চালু হচ্ছে। সপ্তাহে তিনদিন এই বিমান পরিষেবা চলবে। এরজন্য রাজ্য সরকারকে ভায়াবল গ্যাপ ফান্ডিং হিসেবে সর্বোচ্চ বার্ষিক ১৫ কোটি টাকা ব্যয় বহন করতে হবে। যাত্রীপিছু ভাড়া হবে ৪,৫০০ টাকা।

আজ রাজ্য মন্ত্রিসভায় গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের কাজকে আরও ত্বরান্বিত করতে রাজ্যে আরও ১৯টি আরডি সাবডিভিশন, ৪টি আরডি সার্কেল এবং ৬টি আরডি ওয়ার্কিং ডিভিশন স্থাপন করা হবে বলে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আরও জানান, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে সারা রাজ্যে লোয়ার কিন্ডারগার্টেন থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্দেশ্য ৩০০টি আধুনিক শিক্ষাকেন্দ্র চালু করা হবে বলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে কমপক্ষে ১৫ জন ছাত্রছাত্রী থাকতে হবে।

এতে নিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতিদিন ২১৫ টাকা করে দেওয়া হবে এবং মাসে সর্বোচ্চ ২৫ দিন পঠন পাঠন হবে। যোগ্যতার নিরিখে শিক্ষকদের নিয়োগ করা হবে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে এই কেন্দ্রগুলি করা হবে। একটি গ্রামে তিনটির বেশি কেন্দ্র থাকবে না।

তিনি জানান, সারা রাজ্যের বাছাইকৃত ৬,০০০ পথশিশুদের তালিকাভুক্ত করে বিভিন্ন অনাথ আশ্রমে অর্পণ করা হবে। যেখানে রাজ্য সরকারের সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর শিশু কল্যাণ সমিতির সঙ্গে আলোচনাক্রমে তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই ছেলেমেয়েদের ৪,০০০ টাকা করে প্রতি মাসে প্রদান করা হবে। তিনি জানান, সারা রাজ্যে মোট ৪১টি অনাথ আশ্রম রয়েছে।

সেখানে ৮৪৩ জন শিশু রয়েছে। তাদেরকেও এই অর্থ দেওয়া হবে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির জন্য মোহনপুর মহকুমায় ৫০ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার তাদের প্রিমিয়ামের ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ছাড় দেবে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা রাজ্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর ১০০ দিনের কাজের মধ্যে মোট ৪৬টি দপ্তর মিলিয়ে ২৫৪টি লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এরমধ্যে আগামী ৩১ আগস্ট, ২০২২-এর মধ্যে ১৬৬টি লক্ষ্যপূরণ করা হবে। শতাংশের নিরিখে যা হলো ৬৩.৩৩ শতাংশ। বাকি কাজ আগামী সেপ্টেম্বর ২০২২-এর সম্পন্ন করা হবে। শতাংশের নিরিখে ৯৩.৩০ শতাংশ।

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?