অনলাইন ডেস্ক, ২২ আগস্ট।। পুরুষ সমকামিতাকে নিষিদ্ধ করে ব্রিটিশ আমলে প্রণীত আইনের একটি ধারা বাতিল করতে যাচ্ছে নগর রাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। এর ফলে দেশটিতে পুরুষের সমকামিতা বৈধতা পেতে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, সিঙ্গাপুরের এলজিবিটি (নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী) অধিকার কর্মীরা একে মানবতার জয় বলে স্বাগত জানিয়েছেন।
সিঙ্গাপুরের প্রধামন্ত্রী লি সিয়েন লুং রোববার (২১ আগস্ট) জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত, যা অধিকাংশ সিঙ্গাপুরবাসী গ্রহণ করবেন। ভারত, তাইওয়ান, থাইল্যান্ডের পর এশিয়ার আরও একটি দেশ সমকামকে স্বীকৃতি দিল। সিঙ্গাপুরে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৭৭ (ক) ধারা অনুযায়ী সমকামিতা বেআইনি।
তবে কয়েক বছর ধরে ঔপনিবেশিক আমলের এই আইনি ধারাটি বাতিলের দাবি দেশটিতে জোরাল হয়েছে। জাতীয় দিবসে বক্তৃতায় সিঙ্গাপুরের প্রধামন্ত্রী বলেন, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিসূচক ব্যক্তিগত যৌন আচরণ আইনশৃঙ্খলার জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করে না।
আর এজন্য কাউকে বিচারের মুখোমুখি করা বা একে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার কোনো যুক্তি নেই। তবে, দেশটি সমকামিতাকে বৈধতা দিলেও বিয়ে করার অধিকার দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান লি।
তিনি বলেন, প্রচলিত ‘বিয়ের সংজ্ঞা’ নিয়ে আদালতে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ ঠেকাতে সংবিধান সংশোধন করবে সরকার। লি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বেশিরভাগ সিঙ্গাপুরবাসী এখনও চান, পুরুষ ও নারীর বিয়ের মাধ্যমে পরিবারের মৌলিক কাঠামো বজায় থাকুক।
যে পরিবার কাঠামোর মধ্যে আমাদের সন্তানদের জন্ম হয়। বিয়ের বৈধতা না দেওয়ায় এলজিবিটি অধিকার কর্মীরা একে হতাশাজনক বলে অভিহিত করেছেন এবং সতর্ক করে বলেছেন, এটি সমাজে বৈষম্যকে আরও প্রসারিত করবে।