স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৭ আগস্ট।। একাগ্রতা, শৃঙ্খলাবোধ ও দৃঢ় সংকল্পই যে কোনও কাজে সফলতা নিয়ে। আসে। আমাদের দেশের সৈনিকদের মধ্যে এই গুণগুলি লক্ষ্য করা যায়। যুব সমাজকে দেশের এই বীর সৈনিকদের জীবনধারা অনুসরণ করা উচিত। তাহলেই জীবনের সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
আজ আগরতলা স্মার্ট সিটির আওতাধীন লিচুবাগানের অ্যালবার্ট এক্কা স্মৃতিসৌধ ও জগন্নাথ বাড়ি পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী অ্যালবার্ট এক্কা স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর অ্যালবার্ট এক্কা স্মৃতিসৌধের এবং জগন্নাথ বাড়ি পার্কের ফলক উন্মোচন করেন।
মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধে ভারতীয় সৈনিকদের আত্মবলিদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র ভারতীয়দের মধ্যেই দেশের জন্য আত্মবলিদান এবং সাহসিকতা লক্ষ্য করা যায়।
দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মানার্থেই এই স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের এই বীর সন্তান ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করার পাশাপাশি জাতীয়তাবোধের চেতনা গড়ার লক্ষ্যে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালন করার আহ্বান রেখেছিলেন।
সারা দেশের সাথে ত্রিপুরা রাজ্যেও এই কর্মসূচি সফলতার সঙ্গে পালন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সৈনিকরা নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে দেশকে রক্ষা করে চলছেন। দেশবাসী প্রতি মুহূর্তে তাঁদের সম্মানের সাথে স্মরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে সবার সহযোগিতায় ত্রিপুরাকে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা বানানো সম্ভব। অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে শহীদ লেন্স নায়েক অ্যালবার্ট এক্কার পুত্র ভিনসেন্ট এক্কাকে আগরতলা স্মার্ট সিটি লিমিটেডের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সম্মান স্মারক এবং চেক প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধায়ক ডা. দিলীপ কুমার দাস, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, লেন্স নায়েক অ্যালবার্ট এক্কার পুত্র ভিনসেন্ট এক্কা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জে পি তিওয়ারি, ব্রিগেডিয়ার নিলেশ চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগরতলা স্মার্ট সিটি লিমিটেডের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক ডা. শৈলেশ কুমার যাদব। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের সচিব কিরণ গিতো।