স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩ আগস্ট।। ভবিষ্যতে স্থানীয় সামগ্রীর বাজারজাতকরণের অন্যতম মাধ্যম হবে প্রকুয়েরমেন্টের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট (জেম)। তাই বর্তমান সরকার এই প্রকুয়েরমেন্টে স্বচ্ছতা নিয়ে আসার জন্য ২০১৯ সালে জেম চালু করেছে।
দেশের সমৃদ্ধি, স্বচ্ছতা, উন্নয়নের জন্য সকল ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনই একমাত্র পথ হবে। এরফলে সরকারি দপ্তরগুলিতে সহজেই অডিট সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।
আজ আগরতলা টাউনহলে অর্থ দপ্তরের উদ্যোগে জেম-এর উপর এক কর্মশালার উদ্বোধন করে একথা বলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। কর্মশালায় আগরতলা ট্রেজারি-১ এবং ট্রেজারি-২, জিরানীয়া, মোহনপুরের জেম-এর সাথে যুক্ত বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেববর্মা আরও বলেন, জেম-এ স্থানীয় ব্যবসায়ী, স্বসহায়ক দলের সদস্য, স্বউদ্যোগীরা নিজেদের অন্তর্ভুক্তকরণের মাধ্যমে জাতীয় বাজারে নিজেদের উৎপাদিত সামগ্রীগুলির প্রচার করা সম্ভমপর হবে। ফলে রাজ্যের উৎপাদিত সামগ্রী জাতীয় বাজারে পৌঁছতে অনেকটা সহজ হবে।
তাই উপমুখ্যমন্ত্রী আরও বেশি করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যাতে জেম-এ নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে সেজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, রাজ্যের ৫৪০ জন ব্যবসায়ী এখন জেম-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের উন্নয়ন পরিকল্পনা মানুষের ধারণাকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মনে করেন, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ সরকারই উন্নয়নে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে পারে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব আকিঞ্চন সরকার বলেন, দপ্তরের কাজে স্বচ্ছতা নিয়ে আসার জন্য বিগত কয়েক বছরে তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে, জেম-এর নোডাল অফিসার অমরদ্বীপ গুপ্তা, ট্রেজারি অফিসার হর্ষিতা বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সকলকে নিয়ে টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।