স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩০ জুলাই।। আগামী ১ আগস্ট থেকে রাজ্যের সমস্ত বিধানসভা নির্বাচনী ক্ষেত্রের ভোটারদের ভোটার পরিচয় পত্রের সাথে আধার সংযুক্তিকরণের কাজ শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বিএলও-রা ১ আগস্ট, ২০২২ থেকে বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন করে ফর্ম ৬-খ-এর মাধ্যমে আধার তথ্য সংগ্রহ করবেন। আজ সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরণ গিত্যে একথা জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ভারতের নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে ভারত সরকারের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০ ও ১৯৫১ সংশোধন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশানুসারে নির্বাচকের আধার সম্পর্কিত তথ্য সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে। শুধুমাত্র স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে ভোটারদের আরও উন্নত পরিষেবা প্রদানের জন্য এই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
যদি কোনও তালিকাভুক্ত ভোটার আধার না থাকায় এই তথ্য প্রদানে অসমর্থ হয় তাহলে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে না এবং নতুন করে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যদি কোনও আবেদনকারী আধার তথ্য প্রদানে অসমর্থ হন তাহলেও আবেদনপত্র প্রত্যাখ্যান করা হবে না। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরও জানান, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এই দুইমাস জুড়ে এই অভিযান চালানো হবে। শ্রী গিত্যে আরও জানান, ১৭ বছর ঊর্ধ্বে যুবক / যুবতীরা এখন থেকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অগ্রিম আবেদন করতে পারবেন।
এরজন্য কোনও বছরের ১ জানুয়ারি ১৮ বছর বয়স অর্জনের পূর্ব প্রয়োজনীয় মানদন্ডের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এখন থেকে বছরে চার বার ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে। আগে যেখানে বছরে একবার নাম তোলা যেতো। বছরে নাম তোলার ভিত্তি তারিখগুলি হলো ১ জানুয়ারি, ১ এপ্রিল, ১ জুলাই এবং ১ অক্টোবর। তবে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে একবারই জানুয়ারি মাসে।
যোগ্য যুবক যুবতীরা কোনও বছরের উক্ত ভিত্তি তারিখ অনুযায়ী যখনই তার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখনই তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারবে।সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরও জানান, এই সংশোধনের মধ্য দিয়ে দাবি / আপত্তির জন্য আবেদনপত্র সহ আরও কয়েকটি পদ্ধতিতে সংশোধন আনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সংশোধনগুলি ১ আগস্ট, ২০২২ থেকে কার্যকর হবে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়। এছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলনে। অ্যাসিস্টেন্ট চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার সুমন বণিক ও অ্যাসিস্টেন্ট ইলেক্টোরাল অফিসার অভিজিৎ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।