অনলাইন ডেস্ক, ২৯ জুলাই।। মহাসমারোহে বার্মিংহামে উদ্বোধন হয়েছে কমনওয়েলথ গেমসের। এরই মধ্যে ইভেন্টে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। অস্ট্রেলিয়ার বর্শা নিক্ষেপ দলের বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কেলসে-লি বারবের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে দুশ্চিন্তার কিছুই নেই কেলসের। কারণ কমনওয়েলথ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে করোনা নিয়ে অংশ নেওয়া যাবে টুর্নামেন্টে।
করোনাভাইরাস মহামারির সময় খেলোয়াড়েরা কোভিড পজিটিভ হলে স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্টের বাইরে চলে যেতে হতো। কিন্তু করোনার প্রকোপ বিশ্বব্যাপী কমে আসায় সম্ভবত সুযোগটি করে দিয়েছে কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষ। কোভিড পজিটিভ হওয়ার পর নিজের ইভেন্টে অংশ নিতে পারবেন বারবের। মেয়েদের বর্শা নিক্ষেপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৭ আগস্ট।
অর্থাৎ কেলসে-লি বারবেরের হাতে সময় আছে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য। সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্টিংনিউজ’–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর কোনো লক্ষণ দেখা না যাওয়ায় ৩০ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট নিজের ইভেন্টে অংশ নিতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া দলের হাই-পারফরম্যান্স ব্যবস্থাপক অ্যান্ড্রু ফেইচনে জানিয়েছেন, ‘কেলসে-লি বারবের গেমস থেকে ছিটকে পড়েনি। আবারও জানাই, আয়োজক কর্তৃপক্ষ বলেছে (করোনায় আক্রান্ত) অ্যাথলেট যদি শারীরিকভাবে ভালো বোধ করেন, তাহলে অংশ নিতে পারবেন।
’অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকেট ডটকম.এইউ’ জানিয়েছে, কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়া প্রতিটি অ্যাথলেটের ওপর আলাদা করে খেয়াল রাখা হবে। প্রতিযোগিতায় নামার মতো হলে খেলতে পারবেন তারা। প্রতিযোগিতায় নামার মতো- এই কথাটা ব্যাখ্যার দাবি রাখে। করোনায় আক্রান্ত হওয়া অ্যাথলেট শারীরিকভাবে কতটা অসুস্থ তা দেখা হবে।
যে ইভেন্টে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সেখানে আক্রান্ত খেলোয়াড়ের মাধ্যমে সংক্রমণ বাড়বে কি না- এসব পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১৯৯৮ সালের পর কমনওয়েলথ গেমসে এবার ফিরছে ক্রিকেট। মেয়েদের ক্রিকেট এবারই গেমসে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হবে। অস্ট্রেলিয়ার ১৫ সদস্যের নারী ক্রিকেট দল কোভিড পরীক্ষায় পাস করে এখন কমনওয়েলথ ভিলেজে অবস্থান করছেন।
৪৩০ জন খেলোয়াড়ের বহর নিয়ে এবার গেমসে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের মধ্যে অনেকেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাননি। অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার অ্যালিসা হিলি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাননি। সাবধানতা হিসেবে অ্যাথলেটদের কিছু বিষয়ও মানতে হবে। সতীর্থ অ্যাথলেটের ইভেন্টে উপস্থিত থেকে তাতে সমর্থন দেওয়া যাবে না।
লোক সমাগমের কারণে অ্যাথলেটদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ভিলেজে নিজের কামরার বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, অনুশীলনের সময়ও মাস্ক পরতে হবে। বাইরে গিয়ে কফি ও অন্যান্য খাবার কিনে খেতে পারবেন অ্যাথলেটরা।