অনলাইন ডেস্ক, ২৭ জুলাই।। ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর দুটি অঞ্চলে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। কঙ্গোর পূর্ব গোমা এবং বুটেম্বোয় সবচেয়ে বেশি মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন।
জাতিসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা আচমকাই সহিংস হয়ে ওঠে। তারা পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালাতে শুরু করে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বুটেম্বোর ঘটনায় এক শান্তিবাহিনীর সদস্য এবং দুইজন আন্তর্জাতিক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনায় সব মিলিয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের দুই কর্মী ভারতীয় বলে জানা গেছে। দুইজনই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ান।
জাতিসংঘের মিশনের জন্য তাদের ডিআর কঙ্গোয় পাঠানো হয়েছিল। জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জাতিসংঘের বিরুদ্ধে যে কোনো আক্রমণই যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
কঙ্গোর প্রশাসনকে দ্রুত এই ঘটনার তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন গুতেরেস। যে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মৃত্যুর তদন্তের কথাও বলেছেন তিনি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তে কঙ্গোর প্রশাসনকে জাতিসংঘ সব উপায়ে সাহায্য করবে। দীর্ঘদিন ধরেই ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে কাজ করছে জাতিসংঘ।
সেখানে শতাধিক সশস্ত্র বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী আছে। যারা নিজেদের মধ্যে এবং সরকারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালায়। তাদের হামলার শিকার হন সাধারণ মানুষ। কঙ্গোতে শান্তি বজায় রাখার জন্যই সেখানে জাতিসংঘের কর্মীরা আছেন।
কিন্তু অভিযোগ, জাতিসংঘ লড়াই থামাতে যথেষ্ট সচেষ্ট নয়। সে কারণেই বারবার সেখানকার সাধারণ মানুষ জাতিসংঘের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়। মঙ্গলবারও তেমনই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। পরে তা সহিংস হয়ে যায়।