স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৫ জুলাই।। সমগ্র দেশের সাথে রাজ্যেও ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান কর্মসূচির সফল রূপায়ণে রাজ্যে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার পর্যালোচনা করেন। পর্যালোচনা সভায় মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, পুলিশের মহানির্দেশক ভি এস যাদব, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সচিব, সচিব, বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকগণ এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা বর্ষকে স্মরণীয় করতে ‘হর ঘর তিরঙ্গা অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে তা রাজ্যেও সফল রূপ দিতে বিভিন্ন দপ্তরকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই কর্মসূচিকে সফল রূপ দেওয়ার জন্য রাজ্যব্যাপী প্রচার অভিযান সংগঠিত করতে হবে। আগরতলা সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় হোর্ডিং লাগানোর উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি এই কর্মসূচি উপলক্ষে প্রভাত ফেরী আয়োজনের পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ণে সমস্ত জেলাগুলির ক্লাব এবং এনজিও- কে যুক্ত করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পর্যালোচনা সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব অভিষেক চন্দ্রা ‘হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি রূপায়ণে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, রাজ্যের ৮টি জেলা থেকে ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪৭৭টি জাতীয় পতাকা প্রদানের অনুরোধ এসেছে। এর মধ্যে হস্ততাঁত ও কারু শিল্প দপ্তর, টিআরএলএম, টিইউএলএম এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে ৫ লক্ষ ৩৭ হাজার জাতীয় পতাকার ব্যবস্থা করা হবে।
আগামী ৩০ জুলাই থেকে ৬ আগষ্টের মধ্যে এই ফ্ল্যাগগুলি তৈরী করা হবে। তিনি জানান, এর বাইরেও টিআরএলএম-এর মাধ্যমে ৫০ হাজার পেপার ফ্যাগ, ১৬০০ ওয়াল পেইন্টিং, ২০০ টেবিল ফ্ল্যাগ এবং ৩৫ হাজার স্টিকার তৈরী করা হবে। ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রচার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যব্যাপী এই অভিযানের প্রচারের লক্ষ্যে বাংলা ও হিন্দী ভাষায় বিভিন্ন প্রেরণামূলক ভিডিও তৈরী করা হবে।
এছাড়াও পোষ্টার এবং রাস্তার পাশে হোর্ডিং এবং স্ট্যান্ডিজ লাগানো হবে, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যমে সচেতনতামূলক আবেদন তুলে ধরা হবে এবং স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলিতে প্রচার অভিযান করা হবে। পর্যালোচনা সভায় হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির বাস্তবায়নে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকগণ তাদের কর্ম পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন।
সভায় মুখ্যসচিব জে কে সিনহা জেলাশাসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ফ্ল্যাগগুলি কেনার জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান কর্মসূচি সফল বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে ক্লাব এবং এনজিওদের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের পরামর্শ দেন। সভায় মুখ্যসচিব এই কর্মসূচিকে ব্লু পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলিতে যথাযথভাবে পালন করার জন্য উদ্যোগ নিতে বলেন।
এছাড়াও বিএসএফ, সি আর পি এফ, আসাম রাইফেলস, সরকারি অধিগৃহিত সংস্থাগুলিকে এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করার জন্য জেলাশাসকদের পরামর্শ দেন মুখ্যসচিব। সভায় নগর উন্নয়ন দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে জানান, আগরতলা পুরনিগমের উদ্যোগে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি উপলক্ষে রাজ্যের সচিবালয় প্রাঙ্গণে ৩০ মিটার সুউচ্চ স্তম্ভে জাতীয় পতাকা লাগানো হবে।