অনলাইন ডেস্ক, ২৪ জুলাই।। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিদ রবিবার সন্ধ্যায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে যে ভাযণ রেখেছেন তা হুবহু এখানে তুলে ধরা হল। আমার প্রিয় দেশবাসী,
নমস্কার!
১) পাঁচ বছর আগে আপনারা আমার উপর অগাধ বিশ্বাস রেখেছিলেন এবং আপনাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আমাকে ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। আমার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আমি এই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার আগে আপনাদের সঙ্গে কিছু কথা ভাগ করে নিতে চাই।
২) আমি আমার সমস্ত সহ-নাগরিক ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আমার অন্তরের কৃতজ্ঞতা জানাই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সফরের সময় আমার সহ-নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে আমি বারংবার অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হয়েছি। ছোট ছোট গ্রামের কৃষক ও শ্রমিক, দেশের শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর শিক্ষক, আমাদের সমৃদ্ধশালী শিল্পী ও বিভিন্ন কাজে গবেষণারত বিজ্ঞানীরা দেশের জন্য সম্পদ সৃষ্টিকারী বাণিজ্য মহল, দেশের জনগণের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎক, নার্স, দেশ গঠনে ব্রতী বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়র, দেশের বিচার ব্যবস্থাকে মজবুত করতে ব্রতী আইনজীবী ও বিচারপতি, সমাজকর্মী, প্রশাসনকে সুস্থভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে সরকারি কর্মীরা এবং দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত সকলে অবিরাম আমাকে আমার দায়িত্ব পালনে সাহায্য করেছেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে আমি সম্পূর্ণ সহযোগিতা ও আশীর্বাদ পেয়েছি।
৩) আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই, আমার দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী জওয়ান, আধা-সামরিক বাহিনী ও পুলিশ কর্মীদের কথা। দেশমাতৃকার প্রতি তাঁদের ভালোবাসা বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করে। বিদেশ সফরের সময় আমি সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে যখনই কথা বলেছি, তখনি দেশের প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ অনুভব করেছি। নাগরিক সম্মান প্রদানের সময় আমার বিশেষ কাজে নিয়োজিত কয়েকজনের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে। তাঁরা তাঁদের অধ্যাবসায় দিয়ে ভারতবাসীর ভবিষ্যৎ উন্নত করার লক্ষ্যে ব্যস্ত।
৪) এইসব কিছু বারংবার এই বিশ্বাসকেই নিশ্চিত করে যে, যে কোনও জাতি তার নাগরিকদের মাধ্যমেই গঠিত। আপনারা প্রত্যেকে ভারতকে উন্নত থেকে উন্নততর করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে কাজ করছেন।
৫) আমার এই অভিজ্ঞতাগুলি আমাকে শৈশবের কথা মনে করায়। কিভাবে ঐতিহাসিক ঘটনা, আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে গড়ে তোলে, বারংবার তাই মনে পড়ে।
৬) আমি যখন একটি ছোট গ্রামে বড় হচ্ছিলাম, তখন দেশ মাত্র স্বাধীনতা অর্জন করেছে। দেশ পুনর্গঠনের জন্য অনেক সতেজ শক্তির প্রয়োজন ছিল, তখন অনেক নতুন স্বপ্নও ছিল। আমিও স্বপ্ন দেখতাম, দেশ গঠনের এই কাজে আমি অর্থপূর্ণভাবে অংশ নিতে পারবো। মাটির কুঁড়েঘরে বসবাস করা একটি ছোট ছেলের গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক দপ্তরের কাজের প্রতি কোনও ধারণাই ছিল না। কিন্তু, ভারতের গণতন্ত্রের অন্যতম শক্তিশালী দিক হ’ল – দেশ গঠনে সমাজের সর্বস্তরের প্রতিটি নাগরিককে সমানভাবে অংশ নিতে দেওয়া হয়। পরাউঙ্খ গ্রামের সেই রাম নাথ কোবিন্দ যে আজ আপনাদের সামনে ভাষণ দিচ্ছে, তা একমাত্র সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির অন্তর্নিহিত শক্তির জন্যই। এর সম্পূর্ণ ধন্যবাদ প্রাপ্য আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামোর।
৭) আমি যখন আমার গ্রামের কথা বলছি, তখন আমি আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্তগুলির কিছু কথাও বলতে চাই। ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসাবে কানপুরে আমার বাড়িতে যাওয়া এবং আমার শিক্ষকদের পা ছুঁয়ে প্রণাম করে তাঁদের আশীর্বাদ নেওয়া বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ বছর প্রধানমন্ত্রীও আমার গ্রাম পরাউঙ্খ সফর করেছেন। আমাদের শেকড়ের সঙ্গে এই সেতুবন্ধন হ’ল ভারতবর্ষের মূল সারবত্তা। আমি দেশের তরুণ প্রজন্মকে তাঁদের গ্রাম বা শহর এবং তাঁদের স্কুল ও শিক্ষকদের সঙ্গে জুড়ে থাকা এই ঐতিহ্যকে বহন করার অনুরোধ জানাই।
প্রিয় দেশবাসী,
৮) দেশ এখন ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালন করছে। আগামী মাসে আমরা স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপন করবো। আমরা প্রবেশ করবো ‘অমৃতকালে’, যা হ’ল স্বাধীনতার শতবর্ষে পৌঁছনোর আগের ২৫ বছর। এই বর্ষপূর্তিগুলি গণতন্ত্রের যাত্রাপথে একেকটি মাইলফলক। নিজের মধ্যের সম্ভাবনাকে খুঁজে বের করে বিশ্বের কাছে সেরাটুকু পৌঁছে দেওয়ার এক বিশেষ যাত্রাপথ।
৯) আধুনিককালে আমাদের দেশের গৌরবময় যাত্রা শুরু হয়েছিল ঔপনিবেশিক শাসনকালে জাতীয়তাবোধের জাগরণ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনার মধ্য দিয়ে। উনিশ শতকের ভারতবর্ষে অনেক বিদ্রোহ হয়েছিল। দেশের নতুন ভোরের আশায় লড়াই করা অনেক নায়কের নাম দীর্ঘকাল ভুলে ছিলেন মানুষ। সাম্প্রতিককালে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের ভূমিকা দেশের জনগণের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। শতাব্দীর শেষের দিকে বিভিন্ন সংগ্রাম একত্রিত হয়ে এক নতুন চেতনার সৃষ্টি করে।
১০) ১৯১৫ সালে গান্ধীজী যখন মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছিলেন, তখন জাতীয়তাবোধ এক নতুন গতি পায়। আমি সর্বদাই অন্তত্য দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এসেছি যে, ভারতে এক ঝাঁক অসাধারণ মননসম্পন্ন নেতার আবির্ভাব ঘটেছিল বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে মাত্র কয়েক দশকের মধ্যেই। যেমনটা পৃথিবীর আর কোনও দেশেই দেখা যায়নি। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো আধুনিক যুগের একজন ঋষি আমাদের সাংস্কৃতিক শেকড়কে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে কাজ করেছেন। বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর অবিরাম সমতার জন্য লড়াই করেছেন। তিলক এবং গোখলে থেকে ভগৎ সিং এবং নেতাজী, জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে সর্দার প্যাটেল ও শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী থেকে সরোজিনী নাইডু এবং কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় বিশিষ্ট এই ব্যক্তিরা সকলেই একটি অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন।
১১) আমার এই মুহূর্তে আরও অনেক নাম মনে পড়ছে। কিন্তু আমি যে বিষয়টা বিশেষ করে উল্লেখ করতে চাই, তা হ’ল – দেশের মহান নেতাদের এক বৈচিত্র্যময় সম্মিলন, তাঁদের নানাবিধ ভাবনা সহ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁদের বিপুল আত্মত্যাগ ছিল। গান্ধীজী, অবশ্যই অদ্বিতীয়, যাঁর রূপান্তরধর্মী ভাবনা পরিণামকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছিল এবং তিনি এই প্রক্রিয়াকালে বহুসংখ্যক মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছিলেন।
১২) আমরা যে গণতান্ত্রিক পথে চলেছি, তার আনুষ্ঠানিক মানচিত্র প্রণীত হয় সংবিধান রচনাকারী গণপরিষদের সভায়। এতে হংসাবেন মেহতা, দুর্গাবাঈ দেশমুখ এবং রাজকুমারী অমৃত কৌর ও সুচেতা কৃপালনীর মতো ১৫ জন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য মহিলা ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকের মূল্যবান ভূমিকা ছিল সংবিধান প্রস্তুত করার কাজে। আর এই সংবিধানই হ’ল আমাদের পথনির্দেশিকা। এতে নিহিত মূল্যবোধ অনাদিকাল থেকেই ভারতীয় ঐতিহ্যের অন্যতম অংশ।
১৩) সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে সাংবিধানিক সভায় তাঁর সমাপ্তি ভাষণে ডঃ আম্বেদকর সংবিধানে দু’ধরনের গণতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের নিছক রাজনৈতিক গণতন্ত্রের সন্তুষ্ট থাকা কখনই উচিৎ নয়। “আমাদের রাজনৈতিক গণতন্ত্রকে অবশ্যই সামাজিক গণতন্ত্রে পরিণত করতে হবে – বলেছিলেন তিনি। সামাজিক গণতন্ত্র যদি মূল ভিত্তি না হয়, তবে রাজনৈতিক গণতন্ত্র কখনই টিকে থাকতে পারে না। সামাজিক গণতন্ত্র বলতে আমরা কি বুঝি? এর অর্থ হ’ল – এমন একটি জীবনযাপন, যা কিনা জীবনের মূল নীতি হিসাবে স্বাধীনতা, সাম্য এবং সৌভ্রাতৃত্বকে স্বীকৃতি দেয়। এই নীতিগুলিকে কখনই আলাদা বিষয় হিসাবে বিবেচনা করা উচিৎ নয়। গণতন্ত্রের মূলধারা বজায় রাখতে তারা একে-অপরের সঙ্গে মিলিত হয়ে একটি সংগঠন তৈরি করে”।
আমার প্রিয় দেশবাসী,
১৪) আদর্শের এই ত্রিমূর্তি হ’ল বিশেষ, মহৎ ও উন্নত। এগুলিকে বিমূর্ত করার জন্য ভুল করা উচিৎ নয়। কেবলমাত্র আধুনিক সময়ে নয়, প্রাচীনকাল থেকেও আমাদের ইতিহাস মনে করায় যে, এটি বাস্তব এবং সত্য। আমাদের পূর্বসূরীরা এবং আধুনিক জাতির প্রতিষ্ঠাতারা একথা দৃষ্টান্তমূলকভাবে ন্যায়, স্বাধীনতা, সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্বের মর্ম কঠোর পরিশ্রম এবং সেবার মনোবৃত্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমাদের শুধু তাঁদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে এগিয়ে চলতে হবে।
১৫) এ ধরনের নীতিগুলির অর্থ কি? আমি মনে করি, মূল লক্ষ্য হ’ল – তাঁদের জীবনযাপনের আনন্দ খুঁজে পাওয়া। এজন্য প্রথমে তাদের প্রাথমিক চাহিদার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যখন সম্পদে ঘাটতি ছিল, সেই সময় থেকে আমরা অনেকটা দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এসেছি। আমরা এখন উন্নত আবাস, পানীয় জল এবং প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। এই পরিবর্তনগুলি সম্ভব হয়েছে সুশাসন ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত হওয়ায়। এখানে কোনও ভেদাভেদ নেই।
১৬) প্রাথমিক চাহিদাগুলি পূরণ হলে এর পর আসে প্রত্যেক নাগরিকের নিজেদের ক্ষমতা অন্বেষণের সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়টি। এখানে মূল চাবিকাঠি হ’ল শিক্ষা। আমি বিশ্বাস করি, জাতীয় শিক্ষা নীতি ভারতের তরুণ প্রজন্মকে তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত করতে ও একবিংশ শতকে নিজেদের জায়গা খুঁজে পেতে সবরকমভাবে সাহায্য করবে। তাঁদের ভবিষ্যৎকে সুন্দর করতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি জরুরি। অতিমারী পরিস্থিতি আমাদের জনস্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামোর মানোন্নয়নের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়েছে। আমি আনন্দিত যে, সরকার এই বিষয়টিতে প্রাধান্য দিচ্ছে। যখন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা একযোগে গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করা হয়, তখন অর্থনৈতিক পুনর্গঠন জনগণকে তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটাতে সাহায্য করবে। আমি দৃঢ় বিশ্বাসী, আমাদের দেশ ক্রমশ একুশ শতককে ভারতের শতক হিসাবে সাজিয়ে তোলার জন্য সম্পূর্ণভাবে তৈরি হচ্ছে।
প্রিয় দেশবাসী,
১৭) আমার কার্যকালের পাঁচ বছরে আমি আমার যথাসাধ্য ক্ষমতা দিয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, ডঃ এস রাধাকৃষ্ণণ এবং ডঃ এপিজে আব্দুলকালামের মতো মহান ব্যক্তিদের উত্তরসূরী হিসাবে সচেতন ছিলাম। আমি যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রবেশ করি, আমার পূর্বতন রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় আমার দায়িত্বের বিষয়ে তাঁর বিশেষ চিন্তাভাবনা ভাগ করে নিয়েছিলেন। আমার যখনই মনে কোনও সন্দেহ হয়েছে, আমি বারবার পড়েছি গান্ধীজীকে। আমি সর্বদা তাঁর সেই উপদেশটির কথা মনে করেছি, যেখানে তিনি বলেছিলেন, কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে দেশের দরিদ্রতম মানুষের মুখটি স্মরণ করা এবং নিজেকে জিজ্ঞাসা করা যে, এই পদক্ষেপটি তাঁর কোনও কাজে আসবে কিনা। আমি আপনাদের প্রতিদিন গান্ধীজীর জীবন ও শিক্ষা নিয়ে অন্তত কয়েক মিনিট চিন্তাভাবনা করার অনুরোধ জানাই।
প্রিয় দেশবাসী,
১৮) প্রকৃতি মা গভীর সঙ্কটের মুখোমুখী। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা এই গ্রহের ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করতে পারে। আমাদের শিশুদের জন্য আমাদের পরিবেশ, মাটি, বায়ু এবং জলের বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে এবং পছন্দের কাজের মধ্যে অবশ্যই গাছ, নদী, সমুদ্র ও পাহাড়ের পাশাপাশি, অন্যান্য প্রাণীকূলকে রক্ষার জন্য আরও বেশি সচেতন হতে হবে। দেশের প্রথম নাগরিক হিসাবে আমায় যদি কোনও পরামর্শ দিতে হয় – এটি হবে তাই।
১৯) আমার বক্তব্যের শেষে আমি আবারও সহ-নাগরিকদের আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। ভারতমাতাকে আমার প্রণাম! আপনাদের সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য রইল আমার শুভকামনা।
ধন্যবাদ,
জয়হিন্দ!