স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২১ জুলাই।। কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় প্রাণীরোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প রূপায়ণে সারা রাজ্যে আজ থেকে ৪৫ দিনব্যাপী এফএমডি বা খুড়াপিড়া রোগের ২য় পর্বের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচিতে সমস্ত ধরণের ছোট বড় গবাদিপশুকে খুড়াপিড়া রোগের টিকা দেওয়া হবে।
আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই সংবাদ জানান রাজ্য প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস। মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস জানান, দেশের একটি বিশাল সংখ্যক মানুষ পশু পালনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গবাদি পশুর দুধের উপর তাদের আর্থিক অবস্থা অনেকাংশে নির্ভরশীল। কিন্তু খুড়াপিড়া রোগ এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং স্বাভাবিক ভাবেই এর প্রভাব আর্থিকভাবে প্রভাব ফেলে।
এতে পশুপালকরা ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ২০১৯ সালে ১১ সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় প্রাণীরোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প’ মাধ্যমে দেশব্যাপী গবাদি পশুদের টিকাকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। তিনি জানান, ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই টিকাকরণের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। প্রথম পর্বে সারা রাজ্যে ৬ লক্ষ ৩২ হাজার ৬২৩টি গবাদি পশুকে টিকাকরণ করা হয়েছে এবং ট্যাগ লাগানো হয়েছে।
তিনি জানান, এই ট্যাগের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পশুর মালিকের নাম সহ বৃত্তান্ত দেওয়া থাকে। এতে পশুটিকে চিহ্নিত করতেও সুবিধা হয়। এই ট্যাগের আরও অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। মন্ত্রী জানান, পশু টিকাকরণের ক্ষেত্রে কিছু আর্থিক সাহায্যেরও বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বড় পশু টিকাকরণের ক্ষেত্রে টিকাদানকারীকে ২৬ টাকা এবং ছোট পশুর ক্ষেত্রে ১১ টাকা দেওয়া হবে।
বর্তমান করোনা আবহের জন্য কোভিড বিধির সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল প্রাণীপালকেরা যেন স্ব স্ব গবাদিপশুদের নিয়ে নিকটবর্তী টিকা কেন্দ্রে এসে গবাদিপশুদের টিকাকরণ করেন তার জন্য তিনি প্রাণীপালকদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান। তিনি জানান, টিকা করণের সময়ে কানে মূল পড়িয়ে নিবন্ধীকরণ অবশ্যই করতে হবে।
মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস জানান, সারা দেশব্যাপী আগামী ৫ বছর এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া বিভিন্ন পর্বে চলবে। এই টিকাকরণের সফলতার মাধ্যমেই খুড়াপিড়া রোগ থেকে পশুরা সম্পূর্ণরূপে মুক্তি পাবে। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব টি কে দেবনাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের অধিকর্তা দিলীপ কুমার চাকমা।