স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২১ জুলাই।। পাহাড়ি প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শুরু করে সমতল গোটা রাজ্যের মধ্যেই চরম জল সংকট এ কোন নতুন ঘটনা নয় ! হউক তা পানীয় জল আর হউক বা কৃষিকাজের সেচ প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত জল । এ যেন বরাবরের মতোই নিত্য দিনেকার এক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তীব্র দাবদাহের মধ্যেই ফের একবার জলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করলো স্থানীয় কৃষি প্রধান চামপ্লাই এলাকার সকল গ্রামবাসীরা। ঘটনা বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১০ টা নাগাদ। দীর্ঘ ৩ ঘন্টা যাবৎ চলে সড়ক অবরোধ।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ এক বছর যাবৎ তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত তেলিয়ামুড়া আর ডি ব্লকের অধীন স্থানীয় গ্রামীন ও কৃষি প্রধান চামপ্লাই এলাকায় সকল গ্রামবাসীরা বর্তমানের শোখা মরসুমে জমিতে কৃষি কাজে অর্থাৎ ফসল ফলাতে বারংবার বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন শুধুমাত্র জলের কারনে। এলাকায় মাত্র স্থায়ী ২ টি জলের মোটর মেশিন দীর্ঘ বছর যাবৎ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এমনকি জলের পাইপ ও পড়ে আছে দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায়।
গ্রামবাসীর তরফ থেকে বারংবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত থেকে শুরু করে মৌখিক অভিযোগ অর্থাৎ গ্রামের প্রধানকেও দফায় দফায় জানানোর পরেও প্রশাসনিক আমলাদের কোন প্রকার হেলদোল নেই বললেই চলে। প্রত্যুত্তরে প্রশাসনিক আমলাদের তরফ থেকে চলে শুধুমাত্র অজুহাত আর অজুহাত ।
অতঃপর তারই পরিপ্রেক্ষিতে ধৈর্য্য হারা হয়ে এই তীব্র রৌদ্রের মধ্যেই স্থানীয় কৃষি প্রধান চামপ্লাইর কৃষক কূল আজ সকাল ১০ টা থেকে তেলিয়ামুড়া- ঘিলাতলী সড়ক অবরোধ করে।
ফলে দু’পাশে আটকে পড়ে বেশ কিছু ছোট বড় যাত্রীবাহী, পন্যবাহী গাড়ি ও পথ চলতি সাধারণ মানুষ ও বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় আসা ছাত্র ছাত্রীরা। দীর্ঘ ৩ ঘন্টার অবরোধে তীব্র দাবদাহের মধ্যে যেন পথ চলতি একাংশ সাধারণ মানুষ হেনস্থার শিকার । খবর দেওয়া হয় তেলিয়ামুড়া থানায়।
খবর পেয়েই তড়িঘরি তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হয় ও বারংবার আকুতি মিনতি সহ আজ সন্ধ্যার মধ্যে জলের ব্যবস্থা সহ মোটর সারিয়ে তুলার ব্যবস্থা করা হবে আশ্বাস দিলে ও অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
সাধারণ কৃষক কূলের শুধুমাত্র একটাই দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত মোটর ও জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ততক্ষণ অবরোধ উঠবে না । প্রশাসনিক আমলাদের গালভরা প্রতিশ্রুতি যেন এক প্রকার মানতে নারাজ অবরোধকারীরা।