অনলাইন ডেস্ক, ৯ জুলাই।। তীব্র রাজনৈতিক চাপান-উতোর, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে এবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপাকসে। একটি শীর্ষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য উদ্ধৃত করে এএফপি জানিয়েছেন এই খবর।
একটি টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, প্রতিবাদকারীরা নেতার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সরকারি বিরোধী বিক্ষোভে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চত্বর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়। এই অবস্থার মধ্যে প্রেসিডেন্টকে নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, প্রায় হাজার খানেক প্রতিবাদী প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘিরে ফেলে। ব্যারিকেড ভেঙে উত্তেজিত জনতা প্রেসিডেন্টের প্রধান ফটকের সামনে পৌঁছে যায়। এর পরেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ও শূন্যে গুলি ছোড়ে বলে সূত্রের খবর।
দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে থাকা শ্রীলঙ্কায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজনীতিতেও। এই চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেরও পদত্যাগ চাইছেন বিক্ষোভকারীরা।
এই অবস্থায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণের দায়ে ঋণখেলাপি একটি দেশের দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসেন রনিল বিক্রমাসিংহে। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে শ্রীলঙ্কা। এরপর থেকে একের পর এক সমস্যায় জর্জরিত দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটি। বর্তমানে আর্থিক সংকট ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার অভাবের কারণে শ্রীলঙ্কায় এই সংকট দেখা দিয়েছে ফলে পণ্যের সরবরাহ মারাত্মকভাবে কমেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম।এই সংকট থেকে আদৌ দেশকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।
এই পরিস্থিতির জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেসহ গোটা রাজাপাকসে পরিবারকে দায়ী করেছে শ্রীলঙ্কার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরেই প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে। দল, মত, সম্প্রদায় নির্বিশেষে শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা একজোট হয়ে এই আন্দোলন চালাচ্ছে।