স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৯ জুলাই।। রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। শনিবার দুপুরের মিডিয়া বুলেটিনে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যে নতুন করে আরও ৩২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
হঠাৎ করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। এদিকে একটি মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে খার্চি মেলার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতে এ পর্যন্ত ১,৯৮,৫১,৭৭,৯৬২টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। ১৬ই মার্চ থেকে ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
এ পর্যন্ত ৩,৭২,৯৬,৭৫৪ জন নাবালক-নাবালিকা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। ১৮-৫৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ১০ই এপ্রিল থেকে সতর্কতামূলক টিকার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে ১,০৪,০৯,৪১৩ জন টিকার প্রথম ডোজ, ১,০০,৭০,৪৪৯ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮,১৭,৫৫৮ জন সতর্কতামূলক ডোজ পেয়েছেন।
প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে ১,৮৪,২৫,১৯১ জন প্রথম ডোজ, ১,৭৬,৩৪,৬৯৮ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ১,০৭,১৬,৪২৮ জন সতর্কতামূলক ডোজ পেয়েছেন। ১২-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছে ৩,৭২,৯৬,৭৫৪ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ২,৪৭,৮৫,৪৭৫ জন। ১৫-১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছে ৬,০৬,৩৮,০৯৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪,৯৪,২৮,৭১২ জন।
১৮-৪৪ বছর বয়সী নাগরিকদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৫৫,৮৪,৯৯,৫৯৮ জন; দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫০,৩৩,৯৯,৫৬৪ জন এবং সতর্কতামূলক ডোজ পেয়েছেন ৩৬,৯১,৯২৫ জন। ৪৫-৫৯ বছর বয়সী নাগরিকদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২০,৩৪,৮৮,০৭৭ জন; দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১৯,৩৯,০৯,২৭৭ জন এবং সতর্কতামূলক ডোজ পেয়েছেন ২৯,২৩,৩৪৭ জন।
যাঁদের বয়স ৬০-এর ওপরে তাঁদের মধ্যে ১২,৭২,৯৯,১৪৪ জন প্রথম ডোজ, ১২,১১,৪৩,৫৬০ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ২,৫৬,০০,৬৫০ জন সতর্কতামূলক ডোজ পেয়েছেন। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৪,৮৭,৪৯,৯০৮টি সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়া হয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮১৫ জন। বর্তমানে ১ লক্ষ ২২ হাজার ৩৩৫ জন চিকিৎসাধীন।
দেশে মোট সংক্রমিতের ০.২৮ শতাংশ চিকিৎসাধীন।জাতীয় স্তরে আরোগ্য লাভের হার ৯৮.৫১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৮৯৯ জন কোভিড মুক্ত হয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৪ কোটি ২৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৭৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
দেশ জুড়ে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে ৮৬ কোটি ৫৭ লক্ষ ২৩ হাজার ১৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।বর্তমানে সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ৪.০৯ শতাংশ এবং দৈনিক সংক্রমণের হার ৪.৯৬ শতাংশ।