স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৯ জুলাই।। উল্টোরথ পালিত হচ্ছে ৯ জুলাই শনিবার। আগরতলা ইসকন আয়োজিত ফেরা রথ যাত্রায় আজ এমবিবি ক্লাব চত্বর থেকে, কাঁধে চড়িয়ে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবকে রথে আসীন করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিধায়ক বিপ্লব কুমার দেব। ফেরা রথকে কেন্দ্র করে ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ করা যায়। এটি উল্টো রথ বা বহুদা যাত্রা নামেও পরিচিত।
মাসি গুণ্ডিচার বাড়িতে আট দিন কাটিয়ে এদিনই ঘরে ফেরেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। উল্টোরথ শুরু হওয়ার আগে মন্দিরের পুরোহিত জগন্নাথদেবের জগন্নাথদেবের দ্বাররক্ষীদের পুজো করেন, এটি দ্বারপাল পুজো নামে পরিচিত।
মাসির বাড়ি থেকে ফেরার পরও জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম প্রবেশ করেন না মূল মন্দিরে। তিন দিন এরকম ভাবেই বাইরে থাকে রথ-সহ বিগ্রহ। কিন্ত এখন প্রশ্ন হল বাইরে কেন বিগ্রহ? কারণ এই তিন দিন ধরে পালিত হয় কিছু অনুষ্ঠান। যার মূল কেন্দ্রবিন্দু-তে থাকেন জগন্নাথদেব।
বছরে এক বার মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন জগন্নাথ, কিন্ত ফিরে আসার পর রীতিমত ধূমধাম করে সমারোহের সঙ্গে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামকে মন্দিরে রত্নবেদি-তে তোলা হয়। তিনদিন ধরে পালিত হয় বিশেষ অনুষ্ঠান। সোনাবেশ, অধরপনা, রসগোল্লা উৎসব প্রভৃতি আচার-অনুষ্ঠান।
একাদশী তিথিতে জগন্নাথ সহ সুভদ্রা-বলরাম ও সেজে ওঠেন নানা সোনার গয়নার সাজে। পুনর্যাত্রার পর একাদশী তিথিতে পালিত হয় এই সোনাবেশ। এই উৎসব পালিত হয় দ্বাদশীর সন্ধ্যায়।
এই রীতি অনুযায়ী জগন্নাথদেবকে শরবত খাওয়ানোর পালা চলে। ত্রয়োদশীর দিন জগন্নাথদেবের উদ্দেশ্যে ভোগ হিসেবে কয়েকশো হাঁড়ি রসগোল্লা নিবেদন করা হয়।