অনলাইন ডেস্ক, ৮ জুলাই।। বৃহস্পতিবারই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে পদত্যাগ করলেও আগামী অক্টোবর পর্যন্ত তিনিই থাকছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে।
কিন্তু তারপর? কে হবেন বরিসের উত্তরসূরি? জানা গিয়েছে, অক্টোবরে কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে বেছে নেওয়া হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে। এখনও পর্যন্ত যে ৫ জনের নাম উঠে এসেছে নিঃসন্দেহে তার শুরুতেই থাকছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের নাম। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এবার সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ঋষি সুনক।
গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের আগে তার প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন ব্রিটিশ রাজকোষের চ্যান্সেলর বা অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনকসহ আরও দুই মন্ত্রী। তারপর থেকেই জল্পনা, প্রথমবারের জন্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৪২ বছর বয়সী ব্যবসায়ী ঋষি। এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়, কে হতে চলেছেন পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তবে সম্ভাব্যদের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ঋষি সুনক। ২০১৫ সালে রিচমন্ড কেন্দ্রের কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ঋষি। এর আগে ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিফ সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। এরপর ২০২০ সাল থেকে সামলাচ্ছিলেন ব্রিটেনের রাজকোষের চ্যান্সেলরের দায়িত্ব।
রিস জনসনই তাঁকে নির্বাচন করেন এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম পূর্ণ মন্ত্রিসভা পদ অর্থাৎ রাজকোষের চ্যান্সেলর নিযুক্ত করা হয় ঋষিকে। মহামারী চলাকালীন ব্যবসা এবং কর্মচারীদের সাহায্য করার জন্য কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি বিশাল প্যাকেজ তৈরির পরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ঋষি।
ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তি ও সুধামূর্তির মেয়ে অক্ষতার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঋষি। তার স্নাতক স্তরের পড়াশোনা উইনচেস্টার কলেজ থেকে। এরপর অর্থনীতি, দর্শন ও রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন বিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমবিএ করেছেন আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
স্ট্যানফোর্ডে পড়ার সময়ই অক্ষতার সঙ্গে আলাপ হয় তার। ঋষির বাবা ছিলেন চিকিৎসক, আর মা ছিলেন ফার্মাসিস্ট। রাজনীতিতে আসার আগে চাকরি করেছেন নামি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং সংস্থায়।
তারপর নিজের সংস্থাও খুলেছিলেন তিনি। এরপরেই পা রাখেন রাজনীতিতে। ব্যক্তিগত জীবনে মদ্যপান করেন না এই রাজনীতিবিদ। কোভিড বিধি লঙ্ঘন করে জনসভা করার জন্য তাকে একবার জরিমানাও দিতে হয়েছিল।
তবু ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির নতুন প্রজন্মের নেতাদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ঋষি। এখন প্রধানমন্ত্রীর পদ সত্যিই তার দখলে আসে কি না, তা দেখতে মুখিয়ে বিশ্ব-রাজনীতি।