স্টাফ রিপোর্টার, বিলোনীয়া, ৮ জুলাই।। পি আর বাড়ি থানাধীন বড়পাথরী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টারে দিন দুপুরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবারও একই রকম কায়দায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে হাসপাতাল থেকে ৫০০ মিটার দূরবর্তী সোনাপুর স্কুল সংলগ্ন এলাকায় খেলু পাটারির বাড়িতে।
বাড়ির লোকের অনুপস্থিতিতে চোর ঘরের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে আলমারি ও শোকেসের লগ ভেঙ্গে নগদ অর্থসহ বহু টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। অভিযোগ বাড়ির মালিক খেলু পাটারির।
পেশায় শিক্ষক খেলু পাটারি জানায় সে এবং তার স্ত্রী দুজনেই শিক্ষকতার কাজে রয়েছেন।প্রতিদিনের মতো স্বামী স্ত্রী এবং সন্তান স্কুলে চলে যায়। আজ তুমি স্কুল সেরে বাড়ির গেইটে এসে দেখে ভিতর দিক থেকে বন্ধ রয়েছে গেইট।
পার্শ্ববর্তী বাড়ির একজনকে ডেকে এনে গেইট খুলে ভিতরে প্রবেশ করতে দেখে ঘরের দরজার তালা ভাঙা। ভিতরে গিয়ে দেখে সব লন্ডভন্ড লকার ভাঙ্গা। কর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পরেন তিনি। খবর দেন পি আর বাড়ি থানায়। পুলিশ ছুটে এসে সবকিছু দেখে একটি চুরির মামলা হাতে নিয়ে চলে যান। ঘরে ছিল নগদ প্রায় ষাট হাজার টাকা।
সেটা নিয়ে গেছে চোর এছাড়া স্বর্ণালংকার কত টাকার হবে তা নিজের স্ত্রী আসলে তখনই বলতে পারবে। তবে এই ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে। এখনো পর্যন্ত পি আর বাড়ি থানার পুলিশ বড়পাথরী হাসপাতাল কোয়াটারে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া চুরির ঘটনার কোন কূলকিনারা করতে পারেনি।
তার মধ্যে একই রকম কায়দায় একই সময়ে আবার চুরি সেটা যেন থানার গোদের উপর বিষফোঁড়া উঠেছে। অভিযোগ পি আর বাড়ি থানা নিজেদের উপরি কামাইয়ে ব্যস্ত থাকলে ও এই ধরনের ঘটনায় তারা কিছু করতে পারছে না।
আর থানা কর্তৃপক্ষের এই ধরনের ভূমিকায় মানুষের জীবন সম্পত্তি রক্ষা আজ প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। থানা কর্তৃপক্ষ যদি একটু সচেতন হয়ে জনগণের নিরাপত্তা দিতে সচেষ্ট হয় তাহলে হয়তো এই ধরনের ঘটনা দিন দিন কমতে থাকবে। এদিকে একই রকম ভাবে একই কায়দায় এই ধরনের চুরির ঘটনা বিভিন্ন প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিচ্ছে।
ধারণা চুরি কান্ডের সাথে যুক্ত কোন একটি দল এলাকায় ঘুরে ঘুরে খবর লাগছে কখন কোথায় কিভাবে কোন বাড়িতে লোক নেই সেই দিকে। দীর্ঘদিন লক্ষ্য রাখার পর সুযোগ নিয়ে এই ধরনের ঘটনা সংগঠিত করছে।
যদি পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় হয় তাহলে হয়তো এই ধরনের চুরি কান্ডের ফুল কিনারা করতে পারবে পুলিশ এবং ধরতে পারবে চোরের দলদের। যাই হোক এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
মানুষ এখন ভয়ে দিন কাটাতে শুরু করেছে। কারণ রাতে নয় দিন দুপুরে ই এই ধরনের ঘটনা। নিরাপত্তা প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এখন দেখার বিষয় এই দুটি ঘটনা পুলিশ কি ধরনের ভূমিকা গ্রহণ করে।