অনলাইন ডেস্ক, ৮ জুলাই।। ১৫টি কর্পস কমান্ডার বৈঠক হয়ে গিয়েছে। মেলেনি কোনও সমাধানসূত্র। এবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে সেনা অবস্থান বার্তা দিলেন ও ভারতের অবস্থান পরিষ্কার করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শুরু হয়েছে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক। সেই সাইডলাইনে বৈঠকে বসেন ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীরা। তাঁদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল লাদাখের বিতর্কিত জায়গা থেকে চিনা সেনা সরানো।
প্রায় এক ঘন্টা ধরে আলোচনা চলে তাদের। তাদের বৈঠকে উঠে আসে বেজিংয়ের কঠোর করোনা বিধি থেকে দুই দেশরে মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করার মত বিষয়। তবে আলোচনার মূলে ছিল লাদাখ থেকে চিনা সেনা অপসারণ। গত মে মাসে সীমান্ত সমস্যার মেটাতে কূটনৈতিক স্তরে বৈঠক করে ভারত ও চীন।
সেখানে ঠিক হয়, খুব শীঘ্রই কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা শুরু হবে। কিন্তু চারমাস পরেও এই নিয়ে কিছু অগ্রগতি হয়নি। কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক নিয়েও জয়শঙ্কর-ওয়াংয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত ২৪শে মার্চ দুদিনের সফরে ভারতে এসেছিলেন ওয়াং।
তারপরে এই প্রথম বালিতে বৈঠকে বসলেন তারা। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ই জুন গালওয়ান উপত্যকায় পিএলএ সৈন্যদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কমপক্ষে ২০ জন জওয়ানকে হারায় ভারত।
তারপর থেকে, ভারত ও চিন স্ট্র্যাটেজিক এরিয়া দখলের ঠান্ডা লড়াইয়ে সামিল। চলছে কর্পস কমান্ডার স্তরের একাধিক আলোচনা।প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত, গালওয়ান ভ্যালি ও গোগরা হট স্প্রিং এলাকা নিয়ে ভারত চিন জটিলতা কিছুটা কমেছে।
জানা গিয়েছে আপাতত দুই দেশের মধ্যে ইস্যুগুলি হল হট স্প্রিংয়ের ১৫ নম্বর পেট্রলিং পয়েন্ট, দেপসাং ও দেমচকের অচলাবস্থা কাটানো। সূত্রের খবর এখনও পূর্ব লাদাখের এলাকাগুলির সাথে সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান হয়নি।
হটস্প্রিংয় সংলগ্ন ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে চিনা সেনাদের সরিয়ে দেওয়া যায়নি। সম্প্রতি কাংকা লা-র কাছে গোগরা হটস্প্রিং এলাকায় রীতিমত ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান করেছে চিনা সেনা।