অনলাইন ডেস্ক, ৬ জুলাই।। প্রভাবশালী ও ঊর্ধ্বতন দুইজন মন্ত্রী পদত্যাগ করার পর বড় ধরনের চাপের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সরকারের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আকস্মিকভাবে ১০ মিনিটের ব্যবধানে তাদের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন।
তাদের এই পদত্যাগের ফলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি কনজারভেটিভ সরকারের সঙ্কট আরও গভীর হলো। যৌন অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত একজন এমপি ক্রিস পিঞ্চারকে তার সরকারে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জনসন দুঃখ প্রকাশ করার পর এই দুই মন্ত্রী তাদের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
এই দুই মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে লেখা পদত্যাগপত্রে সরকার পরিচালনার মান বজায় রাখতে জনসনের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সমালোচকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা শেষ হয়েছে। আর বিরোধী দল লেবার পার্টি বলছে, জনসন একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দল চালাচ্ছেন।
এটা ষ্পষ্ট যে এই সরকার ভেঙে পড়ছে। কিন্তু বরিস জনসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি মন্ত্রিসভা রদবদল করে তার সরকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছেন।
ইতিমধ্যে তিনি নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে নাদিম জাহাভি এবং স্বাস্থ্যসচিব হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর চিফ অফ স্টাফ স্টিভ বার্কলের নাম ঘোষণা করেছেন। দীর্ঘদিন থেকেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্ব প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে।
এর আগেও জনসনের বিরুদ্ধে করোনা মহামারির বিধি-নিষেধ ভঙ্গ করে পার্টি আয়োজনের অভিযোগ ওঠেছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক বলেছেন, জনগণ আশা করে যে যথাযথভাবে, দক্ষতা ও গুরুত্বের সঙ্গে সরকার পরিচালিত হবে।
আর পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ রাজনীতিক সাজিদ জাভিদ বলেছেন, একের পর এক কেলেঙ্কারির ঘটনায় তিনি মনে করেন না যে এই সরকারের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখতে পারবেন।
তিনি বলেন, অনেক এমপি এবং জনগণ জাতীয় স্বার্থ বজায় রাখার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী জনসনের ক্ষমতার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।