স্টাফ রিপোর্টার, গন্ডাছড়া/ আমবাসা, ৫ জুলাই।। বিষধর ফনীর কামড়ে মৃত্যু এক পঞ্চান্ন বছরের বৃদ্ধার। বৃদ্ধার মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা গ্রামে। কংগ্রেস দলের অভিযোগ চিকিৎসকদের চরম গাফিলতির ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার। ঘটনা সোমবার রাত আটটায়। গন্ডাছড়া মহকুমার ডুম্বুরনগর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষ্মীপুর এ ডি সি ভিলেজের ত্রিশকার্ড এলাকায়।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, ত্রিশকার্ড গ্রামের বাসিন্দা নিরঞ্জন দাসের স্ত্রী পঞ্চান্ন বছর বয়স্ক পরশমনি দাস নিজ ঘরে উনুনে সবজি রান্নায় বসিয়ে লক্ষ করে দেখেন ঘরে কাঁচা লংকা নেই। আনুমানিক রাত আটটা নাগাদ সব্জিতে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঘরের পাশে লংকা ক্ষেতে লংকা পারতে যান। পরশমনি দাসের বক্তব্য অনুযায়ী লংকা পারার সময় উনার পায়ে একটি সাপ বা ফনী কামড়ে ধরে।
চিৎকার দিতেই ফনী পালিয়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গেই পরশমনি দেবী মাটিতে লুটিয়ে পরে। চিৎকার শুনে অন্যান্যরা ছুটে গিয়ে পায়ের কামড়ের স্থান থেকে উপরে তিনটি স্থানে শক্তপোক্ত ভাবে বেঁধে দেন এবং গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। গন্ডাছড়ামহকুমাহাসপাতালর তৎকালীন চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর পায়ের বাঁধন খুলে দেন।বাঁধন খুলার কিছুক্ষন পরই পরশমনিদেবীর দেহ নিস্তেজ হতে থাকে।
দিশেহারা হয়ে রাতেই সাপের কামড়ে আক্রান্ত মহিলাকে ধলাই জেলার কুলাই হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেয়। রাত দুইটা নাগাদ কুলাই হাসপাতালে পরশমনির মৃত্যু ঘটে। মঙ্গলবার পরশমনি দাসের নিথর দেহ ত্রিশ কার্ডের নিজ বাড়িতে পৌঁছলে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। অপরদিকে এই মৃত্যকে মেনে নেয়নি কংগ্রেস দল।
তাঁদের দাবী চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে পরশমনির। রাইমাভ্যালী ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি বাদল সরকার সংবাদ পেয়েই মৃতার বাড়িতে ছুটে যান এবং পরশমনি দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক জ্ঞাপন করেন। মৃতার পরিজনদের সমাবেদনা জানান।
যুব কংগ্রেস সভাপতি বাদল সরকার অভিযোগ করে জানান গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে সুষ্ঠু চিকিৎসার কোন পরিকাঠামো নেই। পরশমনি দাসের মৃত্যুর জন্য দায়ী একমাত্র গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। চিকিৎসকদের চরম গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে পরশমনি দাসের। অভিযোগ যুব কংগ্রেস সভাপতি বাদল সরকারের।