অনলাইন ডেস্ক, ২ জুলাই।। দক্ষিণ কোরিয়ায় শ্রমিকদের ঘন্টাপ্রতি সর্বনিম্ন মজুরি পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে ৯ হাজার ৬২০ উয়ন নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার মজুরি কমিশন। মাসে মোট ২০৯ কর্মঘণ্টার বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ ১০ হাজার ৫৮০ উয়ন। নতুন বেতন স্কেল অনুযায়ী, একজন ইপিএস কর্মী ২০২২ সালে সর্বনিম্ন মাসিক বেতন পাবেন ভারতীয় টাকায় প্রাশ দেড় লাখের মতো।
মালিক, শ্রমিক ও সরকার পক্ষ থেকে ৯ জন সদস্য করে মোট ২৭ জন প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত ত্রিপক্ষীয় একটি জাতীয় কমিশন ও ন্যূনতম বেতন স্কেল নির্ধারণকারী সংস্থা- মজুরি কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে মালিক পক্ষ বেতন না বাড়ানোর পক্ষে মত দিলেও, করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় বেতন বৃদ্ধির আবেদন করা হয় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে।
একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করা হয়। প্রস্তাবিত বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদে মালিক পক্ষ থেকে ১০ জন সদস্য এবং শ্রম ইউনিয়ন থেকে চারজন সদস্য ভোট বয়কট করেন। অবশিষ্ট ১৩ জন সদস্য ভোটাভুটিতে অংশ নেন।
তাদের মধ্যে প্রস্তাবিত ন্যূনতম মজুরি ৯ হাজার ৬২০ উয়ন করার পক্ষে ১২ জন ভোট দেন। বিপক্ষে ভোট দেন একজন। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় গড় বেতন বৃদ্ধির হার ইতোমধ্যে জাপান এবং ইউরোপীয় দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে।
দেশটিতে ২০১৮ সালে প্রতি ঘণ্টার মজুরি বাড়ানো হয়েছিল ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০১৯ সালে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ, ২০২০ সালে ২ দশমিক ৯ শতাংশ এবং গত বছর ১ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হয় সর্বনিম্ন মজুরি।